চেতনার বিস্ময়ে চেয়ে থাকি
আমার পতাকা পানে,
ভায়ের রক্তে পেয়েছি তারে
ঘুমন্ত হৃদয়ও জানে।
মমতায় বাঁধে মায়ের আঁচল
ছায়া দেয় সু-শীতল
কিযে অপরূপ কিযে মধুময়
বাংলা মায়ের কোল।
সবুজের মাঝে রক্ত খচিত
শিহরণ তোলে মনে
নীরব অশ্রু দুই নয়নে
ভেসে যায় অনুরণে।
আফসোসে কাঁদে পোড়া দু’নয়ন
কেন জন্ম হয়নি আগে
যুদ্ধে যাবার অদম্য বাসনা
আমার হৃদয়েও জাগে।
পরশ্রীকাতর থাকবো না আমি
আমার আঙিনা কোণে
আমি বিদ্রোহী, আমি বি্দ্রোহী হবো
শোন মোর প্রিয়জনে।
কবি যেমন কবিতা লেখেন
মিটাতে মনের ক্ষুধা
আমি সৈনিক হয়ে চাই মিটাতে
দেশ মৃত্তিকার শুধা।
কোমল দূর্বা বিছানা হবে
ঘাসফুল হবে বালিশ
হৃদয়ে আমার জমানো রক্তে
পুন করে যাব পালিশ।
অহংকার আমার এই পতাকা
এই পতাকা গর্ব
থাকতে জীবন পতাকার মান
হতে দেবো না খর্ব।
ভোরের পাখি যায় গেয়ে গান
দেখে পতাকার মুখ
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে এই পতাকা
এই পতাকাই সুখ।
এই পতাকা মা-যে আমার
এই পতাকা ভাই
এমন পতাকা বিশ্বে-ভূবনে
আর কোথাও নাই।
১ ডিসেম্বর ২০১৪
সময় বেলা ১১.৪৭
ফটোর কোনো বর্ণনা উপলব্ধ নেই।