ঝড়ের মাতনে ওড়ে জানালার পর্দা
সে তাণ্ডবের বিভৎসতায় উচ্ছ্বসিত চারিধার।
বেগুনি রশ্মিতে ছেঁয়ে গেছে চরাচর
বাতাস বিষাক্ত নিশ্বাসে হয়ে আছে ভারি।
ফানুশ হাওয়ায় বিষ,উদাসী দৃষ্টিতে বিষ,
লকলকে জিহ্বা বড় নেশাতুর-লোভাতুর।
এমন সময় ওই দক্ষিণ হাওয়া দেয় জানান
ঝড়ের মাতনে ওড়ে জানালার পর্দা-
চৌচির জমিনের উদর বুঝি এখনি উঠবে ফেঁপে
কোনো মুখোরতায় ধুয়ে যাবে গ্লানি।
জরাজীর্ণতার মুছে উঁকি দেবে পান্ডুর সূর্য
করিডোরে ফুটবে মাধবী-মালতী,
নিশীথিনী সুখ বিলাবে রজনীগন্ধা-হাস্নাহেনায়।
সুখ- দুঃখ, হাসি - কান্না, আনন্দ-বেদন এরা তো
চিরকালই হাতে হাত ধরে চলে জীবন আঙিনায়।
বহতা নদীর মত বয়ে চলে সময়
পুরাতন স্মৃতি বুকে,শুরু হয় নতুন পথ চলা,
সে আসে উড়িয়ে দিতে,পুড়িয়ে দিতে শোক।
আসলে জীবন মানে ছোটছোট ঘাসফুল
আর মুক্তদানার মত বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।
কতো না আয়োজন এই ছোট্ট জীবন ঘিরে
নেশার ঘোরে সাজে অবিরাম,
কী এক রঙিন উৎসবে ।
মনের ভেতরে ওড়ে শরতের দুধ সাদা কাশফুল,
নীলাকাশ, তুলোতুলো মেঘ।
শীতে পাতা ঝরার রুক্ষতা শেষে প্রকৃতি হয় সবুজে সবুজময়,রঙ-বেরঙ ওঠে হেসে।
ফাগুন বসন্ত ছুঁয়ায় ফোটে, কত না বাহারি ফুল
হিল্লোলে কল্লোলিত হয় ধানক্ষেত, গেরুয়া নদী।
ঘুনধরা অবয়ব আশার আস্তিন ধরে
কত স্মৃতি, কত বেদনাঘন দিন করে শেষ।
পান্তার প্লেটে জমা হয় বাঁচার নতুন স্বপ্ন।
ঝড়ের মাতনে ওড়ে জানালার পর্দা,
পাণ্ডুর সূর্য শ্বেত বসনে জমায় খুশির রেশ
ঘুরেফিরে জীবনের মায়ায় বাঁচে জীবন ।