কেমন আছো শিশির?
জানি,মুখে বলবে 'ভালো আছি'
কিন্তু তুমি ভালো নেই।
কেমন করেই বা ভালো থাকবে
কবিতা ছাড়া শিশির কি ভালো থাকতে পারে?
- পারে পারে, দেখছনা এই আমাকে?
দিব্যি ভালো আছি।
-সত্যি ভালো আছ তুমি?
-হ্যাঁ হ্যাঁ আছি আছি আছি।
-রাগ করছ কেন?
তোমার নয়,রাগ তো করার কথা আমার।
আমি এসেছি বলে যখন এতো রাগ, বেশ চলে যাচ্ছি।
-রাগ, রাগ কোথায় দেখলে!
-তাহলে, অভিমান?
- কার উপরে অভিমান, অভিমান করতে বয়েই গেছে।
- একি তোমার ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট!
তুমি স্মকিং করছো?
এতো অধঃপতন তোমার?
আমি চলে যাচ্ছি আর কোন দিন আসবো না।
-কবিতা।
-হাত ছাড় শিশির।
'অভিমানে ঝর ঝর করে কবিতার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়লো অশ্রু বৃষ্টি। সে স্মকিং একদম পছন্দ করেনা। অথচ শিশিরের ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারের। মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তবু মেনে নিতে হবে। শিশির যে আর কবিতার নেই, সে এখন অন্য কারো।'
-যদি না ছাড়ি?
-কোন অধিকারেই বা ধরে রাখবে?
-কোন অধিকারে, তাই না?
একঝটকায় শিশির কবিতাকে তার বুকের পরে ফেলে। ঠোঁটে চুমো এঁকে বলে
-দেখেছো কোন অধিকারে? ভালোবাসার অধিকারে।
-মিথ্যা, মিথ্যা, তুমি আমাকে ভালোই বাস না।
-তাই, না?
-হুম, তাই।
- কি করে বুঝলে আমি তোমাকে আমি ভালোবাসিনা।
-ভালোবাসলে আমাকে এভাবে কষ্ট দিতে না।
-আমার হাতে সিগারেট দেখে খুব কষ্ট পেয়েছো তাই না?
-হুম।
-কেমন লাগে কাউকে কষ্ট দিলে?
- আমি আবার তোমাকে কবে কষ্ট দিলাম?
-দাওনি না? তাহলে আমার হাতে এটা কেন?
- তার উত্তর তুমিই ভালো জানো, হাত ছাড়ো আমাকে যেতে হবে।
-চলে যাবে তাই না?
- হ্যাঁ।
-বেশ যাও,
-এই এই কাছে আসবে না বলছি।
প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে আবার ঠোঁটে চেপে ধরে শিশির, আগুন জ্বালিয়ে আঙ্গিলে চেপে ধরে বলে
-বেশ গেলাম না, আমার তো এটা রয়েছে।
- ওটা নিয়েই থাকো পারলে মদটাও গিলো বাকিটা নাই বা বললাম, পারলে সেটাও কোরো
মুহুর্তে কবিতার ঠোঁটে চুমো আঁকে শিশির,
-এটা কি হলো
-সিগারেটের পরিবর্তে এখন থেকে এটাই থাকবে
-যাহ ফাজিল কোথাকার।
-এই আকাশে চেয়ে দেখো কি সুন্দর একঝাঁক পাখি।
-দেখবো না,
- এই সাপ সাপ
সাপ নাম শুনতেই কবিতা শিশিরকে জড়িয়ে ধরে ভয়ে,
কবিতকে বুকে জড়িয়ে ধরে শিশির এখানে মাথা রাখো
এসো মান অভিমান ভুলে আমরাও মুক্ত বিহঙ্গ হই।
১১ জুলাই ২০১৮