(প্রিয় কবি বন্ধুগণ বিভিন্ন কারণে ইদানিং নিয়মিত আসরে আসতে পারছিনা। তাই বন্ধুদের লেখা পড়তে ও মন্তব্য করতে পারছিনা তার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখীত।)
তোমারি কারণে যুগ থেকে যুগ এত যুদ্ধ এত বিগ্রহ গেলো
তবু আজো পারিনি জানতে মৃত্তিকা তুমি কার?
তুমি আমার পূর্ব পুরুষের ঘাম আর রক্তে ভিজে
নিজেকে আঠালো করেছ, উর্বর করেছ।
গ্যালন গ্যালন রক্তে গোসল করে
তোমার বুকে দূর্বাদল লিকলিকিয়ে ওঠে
কাননে ফুল ফুটে হেসে ওঠে, পাখি তোলে সুর
শুভ্র আকাশে ভাসে তুলো তুলো মেঘ
তবু কেন আজো পারিনা একটু শান্তিতে নিদ্রা যেতে?
অনিশ্চ রাতের আঁধারে বেজে ওঠে অশুভ সংকেত ধ্বনি।
আমার পিতার বুকের রক্ত সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে মিসে যায় সাগরে
ছোট্ট অবুঝ শিশু ভাইটি পায়ন পিপাশায় একবিন্দু পানি।
মৃত্তিকা দেখো তোমার জন্য প্রতিটা মুহুর্তে জাগিয়ে রেখেছি অপেক্ষা
দুহাতে শেকলের কড়া পড়া দাগ মেলেনি আজো
তোমার জন্য ফেলানীর লাশ শুকা দেওয়া হয় কাঁটা তারের বেড়ায়
তোমার জন্য নূর হোসেনেরা বুকে পিঠে লেখে, গণতন্ত্রের কথা
তোমার জন্য তনু, আপিফা, খাদিজারা আজো ধর্ষিত হয়,
সদ্য ফোটা গোলাপের গায়ে কাঁচা মাংসের গন্ধ.
ভাল লাগে তোমার ভীষণ ভালো লাগে।
তোমার জন্য আজো বিশ্বজিতেরা লাশ হয়ে ফেরে
ওদের বুকের তাজা রক্তে তোমাকে গোসল করায় নিত্য
তোমার জন্য প্রতিদিন রোড় এক্সিডেন্টে জীবন বিলাচ্ছে কোন না কোন তরতাজা প্রাণ,
তাদের রক্ত আল্পনা এঁকে দিব্বি আছ তুমি।
এখন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এক একটা রঙীন উৎসব
কেউ ফুল হাতে কেউবা ফুলের ডালা হাতে
লম্বা লাইনে দাঁড়ায় সারি সারি সাদা মানুষ
পতপতিয়ে ওড়ে পতাকা,
এমন সময় হঠাৎ খুব্দ হও রাক্ষুসে নিশায়।
১৬ আগস্ট ২০১৮