লেখনী কখনো প্রেমিক, কখনো বা প্রেমিকা,
কবিতার নিটোল শরীরে রমণীয় স্পর্শ পাই-
পাই রমণ স্পর্শ ৷
আপদমস্তক কেনো এতো স্নিগ্ধ হই মরণের রাগে ?
নিয়ত প্রলুব্ধ হই অচেনা শঙ্খচিলের ঘরে
গন্ধে রোদ মাখানো কবিতা দোপাট্টা দিয়ে ঢাকে
ভাবাবেগগুলো শুয়ে থাকে আড়াআড়ি।
জানিনা রিমঝিম শ্রাবণ শব্দের মৈথুনে
কার ফেলে দেওয়া চুড়িদারের ছাউনি
ঢেউ তোলে কবিতার কোমরে ,বুকে
শিশির ভেজানো ঠোঁটে !
মন আকুল হয়ে ছুটে চলে মেঘের ন্যায়
মেঘের সাথী হয়ে হৃদয়ে সবুজ গালিচা পাতে।
ঋতুমতী অনাবিল বাসর-সজ্জায়
জোৎস্নার উজ্জ্বলতা, ভোরের শুভ্র বকুল মালা
বৃষ্টি ভেজা চতুর্দশী, সপ্তর্ষি অরুন্ধতী
তিরতিরে ঢেউয়ে আসে চেতনার বীজ হয়ে ।
চোখের ভাষায় কথা হয় কুঁড়ি হলে হবো ফুল
সুডৌল শরীরে রাখে চন্দন-ঘ্রাণ ৷
এতকিছুর পরেও ভালোবাসা কুন্ডলী পাকায়
রাধার বিরহী লোনা জলে ভাসে সাগর
কৃষ্ণকালার তানপুরায় বাজে করুণ সঙ্গীত।
শান্তি-সুখ পরিপূর্ণতা মাঝেও চৈত্র প্রহরে আগুন ঝরে
সন্ধ্যেগামী উন্মুখ হাত রাখে চিবুকে তরল প্রলেপ ,
কক্ষপথে সাজিয়ে রাখা সুভাষিত প্রভাতে
শুরু হয় আগুন চুরি দাবানলের মৌন কানাকানি
আসলে কথারা সব বিলুপ্ত হয় পাখির ঠোঁটে
আর শিলালিপি হয়ে থাকে কবিতার পানপাত্র।
১৩ই শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৮শে জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ