আকাশে বাতাসে সুর উঠেছে, ফাগুন এলো দ্বারে;
বরণ তাকে করতে হবে বসন্তরে পুষ্প রাঙা হারে।
পথ ছেয়ে আছে শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়ার লালে,
চৌদিকে তে সুবাস ছড়ায় হাজার রঙের ফুলে।
কনকচাঁপা,নয়নতারা,জুঁই-জেসমিন,আম্রমুকুল সাথে
রক্ত-কাঞ্চন, ক্যামেলিয়া, ইউক্যালিপটাসও মাতে ।
হিমঝুরি মণিমালা, মহুয়া, , মুচকুন্দ,সুবাস ছড়ায়;
মাদার, দেবদারু, গামারি ফুলেও এলো যে ধরায়।
গাছের শাখে নববৃন্ত- রুক্ষ শীত, ঝরা পাতার শেষ;
কচিকচি পত্র-পল্লব আহা দেখতে লাগে কিযে বেশ।
কাচা বরই, আম ভর্তার মজা ধনিয়া পাতার সাথে
চড়ুইভাতির ধুম পড়ে যায়, গানের আসরে রাতে।
কবির লেখনী কাব্যে মাতে; চলে শব্দের কারুকাজ,
ফাগুন মানেই ভূবণ রঙিন অন্যরকম এক সাজ।
কল্পনা আর আল্পনা রং তুলির আঁচড়ে বসন্ত বরণ
মন বলাকা উড়ে চলে মানেনা বাঁধন শোনেনা বারণ।
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা কাজী নজরুলের গান
জসীম উদ্দিনের নকশী কাঁথায় ফাগুন যে পায় প্রাণ।
পলকজুঁই, রুদ্রপলাশ, শাল, শিমুল,দেবদারু বন
রঙে রাঙিয়া দক্ষিণ হাওয়ায় মাতায় সবার মন।
উথালি পাথালি ওড়ে এলোমেলো কপোত-কপোতী
যুগল ফ্রেমে বন্দী হয় ,পায় খুঁজে অমোঘ হীরামতি।
ঋতুর রাজন বিরাজ সেযে করে মনের আঙ্গিনায়
বসন্তকেই কন্ঠে ধরে আসে সেযে মনের সীমানায়।