চৈত্রের শেষ সূর্য অস্তমিত হতেই
কালের গহনে ডুব দিল আরো একটি বছর।
কিছু দুঃখ, কিছু স্নৃতি, কিছু বেদনাকে বুকে নিয়ে
আলো আঁধারীর জীবন তরীতে পারাবারে দিতে পাড়ি
নব আনন্দ ধারায় ফিরে এলো বৈশাখ।
টান টান উত্তেজনা আর,
ঝলমলে উজ্জ্বল আলোর বর্ণছটায় সেজেছে বসুন্ধরা।
মধু ফলের মৌ মৌ গন্ধে মুখর শরিত্রী
চার দিকে সবুজের সমারহ
বনে বনে দুলছে বাহারি রঙের ফুল,
ফুলে ফুলে বসেছে প্রজাপতির মেলা।
ঋতুরাজ বসন্ত, পত্র মিতালিতে বৈশাখীকে জানিয়ে নিমন্ত্রণ
কাজল ধোয়া চোখের টলমল লোনা জলে নিয়েছে বিদায়।
রিক্সার হুড তুলে কপত-কপতি
পরীর বেশে মেলেছে ডানা।
গানের সুরে সুরে বাউরি পবন হেসে বলল এসে
এমনো দিনে হারিয়ে যেতে নেই কোন মানা।
বিমোহিত চোখ বৈশাখী রং মাখা রঙিন স্বপ্ন বিভোর কৃষাণ।
কৃষাণির মনে জাগে অনাবিল আনন্দ জোয়ার
রেশমি চুড়ি রিনিঝিনি বাজে তার কোমল হাতে।
ঈশাণ কোণে কালো মেঘের ঘনঘটা, শনশন বইছে বাতাস
বর্ষার কাদা জলে ফলবে সোনালী ফসল।
ষষ্ঠির আমন্ত্রণে, পাল তোলা নায়ে ভেসে বধু চলেছে উজান
পাখিও মেলেছে পাখা বধুর পাশে,
এক ঝাক সাদা বক উড়ে যায় নীল আকাশে।
নদী কূলে বুনো গাছ বাড়িয়ে দু-হাত ললাটে এঁকে চুমো
স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য বুকে ধরে
ডাকে সাদরে, এসো, এসো হে বৈশাখ, এসো আমার ঘরে।