নিশিদিন সকাল সাঁঝেতে খুঁজি দোষ তার
শত ব্যথা বুকে তবু সে কাঁদি না একবার ।
আমি হেসে হই খুন একটু আনন্দ পেলে
সে রাতদিন এক করে কোথায় হর্ষ মেলে।
চুন থেকে পান যদি খসে ফেটে পড়ি রোষে
অকারণ করি দোষারোপ তারে বিনা দোষে ।
কত অব্যক্ত জ্বালা সে-যে সদা বুকে ধরে
আছে কিসে সুখ আমার সে তাই খুঁজে মরে।
কখনো যদি না পাই কাঙ্খিত বস্তু করি চিৎকার
যেভাবে পারে এনে দিতে চেষ্টা ত্রুটি নেই তার।
না খেয়ে খাওয়ায় আমায় জানো কে সেই জন,
ধরাতে আছে কত কি, কোথাও পাবেনা সেই ধন।
অভাবের করাঘাতে বুকে আছে কত হাহাকার
তবুও সচেষ্ট থাকে সে রাখতে আমার আবদার ।
যতবার উঠেছে আকাশে ঝড়, কাল-বৈশাখি
ততবার হয়েছে সে আমার এ দুটি হাতের রাখি।
যত করি কৃতাঞ্জলি, সে তত দেখায় পুট মায়া
গুল্মতা তরুদল,সে আলো,সে বটবৃক্ষের ছায়া।
সে মট-মন্দির, প্যাগোডা সে যে পবিত্র কাবা
সে কে হয়? সে আর কেউ না সে আমার বাবা।
৬ এপ্রিল ২০২২