স্বর্গে নাকি সুখ আছে,বলেন দাদামশাই।
সে সুখের স্বর্গ কোথায়,বলে দেবে আমায় ?
সেখানে কি শুধুই মজা!
নেই কি পিঠে বইয়ের বোঝা!
সকাল সন্ধ্যে পড়তে বসা
নেই কি কঠিন অংক কষা?
আহা! ভাবতে লাগে বেশ!
দুঃখ এবার হবে শেষ!
সুখের স্বর্গে মস্ত খেলার মাঠে
টুকাই,ভোলা,তানু,ভানুর সাথে...
যেদিক খুশি ছুটব মাঠে-ঘাটে।
বাবা-মায়ের শাসানি....
ভূগোল স্যারের চোখরাঙানি...
তাও বুঝি নাই!
ভুলের সাজা কানমলা আর
রুটিন মেনে মেনে চলা...
সেসব তবে দূর-ছাই।
চুপটি কেন,ও দাদামশাই!
সেখানে কি নিত্যদিন বসে শিশুর মেলা?
গল্প- হাসি- ছড়াগান...
সারাদিনই খেলা!
হাঁ করে তাকাও কেন? ও দাদামশাই!
স্বর্গে যাওয়ার পথটা বলো;
আজই যেতে চাই।
অবশেষে উদাস হেসে
খকখকিয়ে একটু কেশে,
নাতিকে জড়িয়ে ধরে...
ও দাদুভাই ওরে,তোকে বোঝাই কেমন করে!
স্বর্গের পথ খোঁজা নয়রে অতই সোজা!
ঐ সুখের স্বর্গে ক'দিন বাদে,
আমিই যাবো দাদুভাই!
আমার মতো বুড়োদেরই হয় সেখানে ঠাঁই!
একদিন তুই বুঝবি সবই ভাই...
স্বর্গসুখের ঠিকানাটা ঠিক কোথায়!
-----------------------------------------
✍️সুলেখা রায়।(কলকাতা/ভারত)
***আজ(21শে আগস্ট) "বিশ্ব প্রবীণ দিবস"। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যৌথ পরিবার প্রায় হারাতে বসেছে। আধুনিক সমাজে বেশির ভাগ শিশুই তাদের দাদু-ঠাকুমার স্নেহছায়া থেকে বঞ্চিত। অনেক সময়ই পরিবারের প্রবীণ সদস্য নিজেকে উদ্বৃত্ত ভেবে একাকিত্বে ভোগেন-- শিশুরাও পড়াশুনার চাপে জেরবার। প্রবীণ মানুষের স্নেহের পরশ এবং আশীর্ব্বাদ প্রতিটি পরিবারে শুদ্ধ বাতাস বয়ে আনুক... এই কামনাই করব।