ওরা লজ্জা বেচে লজ্জা ঢাকে,
লোকচক্ষুর আড়ালে থাকে।
ওরা মানুষের মতো দেখতে
তবু সমাজের চোখে ঠিক মানুষ নয়!
ওদের উঠোনের মাটি দিয়েই
দেবীদুর্গার মাতৃপ্রতিমা গড়া হয়!
ওদের অস্তিত্ব আইনসিদ্ধ
শহর থেকে দূরে ওদের পল্লীটা নিষিদ্ধ।
সস্তা ঝকমকে শাড়ি আর
ইমিটেশন গয়নায়...
কমদামি কসমেটিকসে
ওরা নিজেকে সাজায়।
ওরা নিজেকে পুড়িয়ে
ওপরের আগুন নেভায়...
নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করে
ভাঙাচোরা সংসারের ক্ষতগুলো সারায়।
ওরা হাসিটা দেখায়--কান্না গিলে খায়!
অন্ধ গলির মোড়ে দেহের পসরা সাজায়।
সমাজ ওদের পতিতা--বারবনিতা
কিংবা বেশ্যা নামে চেনে...
ওই বাবুদের কোন বিশেষ নাম নেই,
যারা ওদের শরীরকে পণ্য হিসেবে কেনে।
রাত শেষে বাবুরা সসম্মানে
দিনের আলোয় ফিরে যায়...
আলোর বিপরীতে পতিতাদের পাওনাটুকু
সমাজের করুণা আর ঘেন্নাটাই!
ওরা কেউ দুর্গা,কেউ লক্ষী
কেউ বা অনন্যা...
ওরাও কারো মা--কারো বোন
কারো বা কন্যা।
----------------------------------
✍️সুলেখা রায়।(কলকাতা/ভারত)