মেয়েটি ভালবেসেছিল পাহাড়কে
মাটি তার মোটেও পছন্দ নয়...
সে অনেক উপরে উ ঠতে চায়!
পাহাড়ও চেয়েছিল মাটির মেয়ের
ছোঁওয়া পেতে....
দুহাত বাড়িয়ে ডেকে নিল সে
তার ভালবাসাকে....

মেয়েটির তো আহ্লাদে ধরে না
পাহাড়ের প্রেমে সে পাগল....
সূর্যের প্রথম কিরণ গায়ে মেখে
ঝর্ণার জলে স্নান করে
নেচে গেয়ে...
খানখান করে দেয় পাহাড়ের স্তব্ধতাকে
চিৎকার করে বলে মেয়েটি
আমার মতো সুখী কি কেউ আছে?
পাহাড় আমাকে সব দিয়েছে সব.....
মাটি! তুমি কি দিতে পারো আমায়?
নিঃস্ব রিক্ত তুমি!
ঠোঁট  উল্টায় মেয়েটি।

ভালই তো কাটছিল দিন
পাহাড়ের সঙ্গে মেয়েটির
হঠাৎ মেয়েটির আরেক নেশা ধরলো
সে আকাশ ছুঁতে চায়..
নিষেধ করে পাহাড়
জিদ চেপে যায় মেয়েটির
বলে - কি হিংসুটে তুমি?
আমার সাফল্য সইছে না বুঝি?
দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাহাড়....
পাহাড় জানে এর পরিনাম কি হতে পারে।

একদিন চুপিসাড়ে পাহাড়ের
মাথায় পা দিয়ে মেয়েটি
আকাশ ধরতে গেল...
হাহাকার করে উঠলো পাহাড়
না না কক্ষনো না....
মেয়েটি তখন গড়াচ্ছে
গড়িয়ে পড়ছে নীচে আরো নীচে
যেখানে দুহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে
সেই শান্ত স্থির  স্নিগ্ধ মাটি...
যে মাটিকে অনাদরে ছেড়ে এসে ছিল সে...

পরম শান্তিতে শুেয় আছে মেয়েটি
মাটির কোলে...
উপরে উঠার নেশায় মেয়েটি
ভূলেই গিয়েছিল
মাটিই মানুষের অন্তিম আশ্রয়
------------------------
শুক্লা সান্যাল (২/৭/১৫)