সীতা যদি শূর্পণখা হত
তা হলে আমি খুশি হতাম।
রাবণ কে যদি রাম না মারত ,
মন্দোদরী আর সীতা মিলে মারত ,
তবে আমি খুশি হতাম !
দ্রোপতি কৃষ্ণর কাছে ,
বস্ত্র না চেয়ে যদি
কৌরব বংশ ধ্বংস করার শক্তি চাইত
তাহলে বেশ ভালো হত ।।
সীতা তো জানত
সে সর্ব শক্তির আধার
তবু সে কেন ?
রাবণের প্রতিদ্বন্দ্বী হল না ?
দ্রোপতি যদি নিজের বস্ত্র হরণ
রুখতে পারত ,
তাহলে হয়তো আজকে সমাজে
আর ধর্ষণ হত না ।
শিব সতীর কাছে বার বার
সতীত্বের প্রমাণ নিয়েছে!
তবে সতী কেন তার প্রভূতের প্রমাণ নীল না?
কুন্তি কেন প্রকাশ্য
কর্ণকে প্রসূত করল না ?
আজ তাহলে দেহ ব্যবসায়ীরা
এক ঘরে হত না ।।
ধর্ম কেন নারীকে শুধু সতীত্ব শেখায়
ধর্ম কেন নারীকে শক্তিমান হতে শেখায় না?
কেন ধর্ম আমাদের
বলি দিতে শেখায়
বীর হতে কেন শেখায় না ?
কৃষ্ণের লীলা অমর
তবে অপ্সরা কেন
সমাজে অপমানিত
সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন?
পৃথিবী সব ধর্ম
নারীকে সম্মান  দেওয়ার কথা বলে
কিন্তু কেন নারীকে
সম্মানিত হতে শেখায় না।

জাগো হে নারী জাতি জাগো !
ধর্ম ত্যাগ কর !
যুদ্ধ শুরু কর !
এবার যদি তুমি শক্তি অর্জন না কর !!!!
মিটিয়ে যাবে বিলিয়ে যাবে!
তোমার অস্তিত্ব!
তোমার মাটির শরীর!!!
মাটিতে মিলিয়ে যাবে।।।