জানি আপনারে সর্বস্ব করতে না পারি অর্পণ
যেখানে বয়ে গেছে নদী যার সীমানা কেবল গোপন,
লুকিয়ে ছিলে বক্ষ ভেদে অস্থিজোড়া সমর্পণ
চাতক বেশে নিভৃতচারী জুড়ায় কাজল পলক নয়ন।
গেঁথে আছে বেলি ফুলের সৌরভ পরাণ বিভোল
সেখানে দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া যার অপার বিস্তর ;
আহবানে ডেকে নিয়ে যায় নির্বাক সীমান্তের ভিড়ে,
প্রত্যুষে অন্বেষণের সুরে ছুঁয়ে যায় চঞ্চল আঁখি কাজল।
জানি আপনারে করতে না পারি গহীন প্রত্ন নিবেদন
যেখানে জারুলের ফুলে আড়ষ্ট সকল গুল্ম প্রাণ,
প্রভাতে দিয়েছে অঞ্জলি পুষ্প মনোরথে বাসনা তব নির্বাণ
জীমূত সুন্দর ভাবনার মোহে আবিষ্ট ঝিঁঝিঁ পোকার বয়ান।
সূর্যমুখী দোল খায় জলদ গগন পবনে ঈশান কোণে
উল্লসিত পরাগ রেণু রাখতে না পারে নিমন্ত্রণ;
কেবলই বিমূর্ত কল্পিত যাচিত ক্ষণিক নিদারুণ বেদন;
যেভাবে জোনাকির দল বিস্মরণের প্রহর গুনে সাঁঝ সন্ধিক্ষণে।
৩০ বৈশাখ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ।