সব কবিতা খাতায় বা ডায়রিতে লেখা থাকে না,লেখা থাকে এক গোপন অন্তঃপুরে।লেখা দেবার শেষ-তারিখ উপস্থিত হলে কবিতাগুলো অন্তঃপুর থেকে বেরিয়ে আসে।
তখন অবগুন্ঠন খুলে দেখে নিতে হয় শুকনো কাপড় কিংবা তুলো দিয়ে কিছুটা ঝাড়পোঁছ বা ঘষামাজা করার পর রুলটানা 'এক্সিকিউটিভ বন্ড' কাগজে চন্দ্রোদয় হবে।
সেই মুহূর্তে কাঙ্ক্ষিত রঙের কালি বা জেলপেন এগিয়ে আসবে,দশদিকের দশরকম জ্যোৎস্নার ভিতর ওড়াওড়ি করতে থাকবে দশরকমের দৃশ্যসমূহ,শব্দসম্ভার ইত্যাদি ইত্যাদি।
এদের মধ্যে চেনা-জানা দৃশ্যের সঙ্গে মিশে থাকে অচেনা-অজানা দৃশ্য।
আমার কাজ কেবলমাত্র মিশ্রণের অনুপাত ঠিক করা।আমি সেটুকুই করি।কবিতালেখায় আমার ভূমিকা এর এক বাঁওও বেশী নয়।