এসো হে বৈশাখ, এসো হে নতুন বছর
পুরাতন যত সব গ্লানি ফেলে নবজাতক শিশুর মতো খিলখিলিয়ে হাসুক
এসো হে বৈশাখ, এসো হে দামাল।
এই নতুন বছরে নতুন সাজে তোমারে করি সাদর আমন্ত্রণ। ওই রাস্তায় না খেতে পাওয়া মানুষটির গায়ে উঠুক নতুন জামা, রাতে রক্ত বিক্রি করে বাড়ি ফিরে আসা বাবার পায়ে হোক নতুন জুতো, মায়ের শাড়িতে ফুটুক হাজার ফুলের বাগান।
এসো হে পহেলা, এসো হে বৈশাখ, এসো হে রবি ঠাকুরের গান।
হে অন্তর --সমস্ত কর্মব্যস্ততা জীবনে মানুষ মানুষে মিশুক, কেউ গান, কেউ কবিতা কেউ আড্ডা কেউ নৃত্য মেলায় সাজুক। এসো হে বৈশাখ এসো হে প্লাবন।
এসো এসো হে নদী এসো হে আগুন এসো হে মাটি। এই বৈশাখে ঝড় উঠুক, ঝরিয়ে দিক যত হলুদ পাতা আর ফুল,
মানুষ তুমিও ঝরিয়ে দাও তোমার যত ভুল।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হোক নতুন করে ভিজে যাক গাছেদের শরীর। সারাদিন গরু চড়িয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরা ছেলেটিও তার বাঁশির সুরে উঠুক নতুন ধানের শীষের গান।
প্রেমিক প্রেমিকা পাঞ্জাবী আর শাড়ি পড়ে হাতে হাত রেখে ঘুরতে যাক নতুন বছরে নতুন জীবনে রামধনু রঙে সাজুক।
এসো হে গাছ, এসো হে পাখি এসো হে বনের ফোঁটা ফুল।
এসো হে মানুষ,নতুন বছরে ঝরিয়ে দাও তোমার যত ভুল।
এই পাড়ার সবথেকে দুরন্ত ছেলে বাবার সাথে বাজারে যাবে রাস্তায় মোড়ে ভিখারি থালায় সেও সেদিন ছুড়ে দিবে আধুলি। বাবার কাছে আবদার রাখবে তার সববয়সী ভিখারি ছেলেটির জন্য কিনে আনবে নতুন পোশাক। নতুন বছরে নতুন করে সাজবে তারা নতুন ধারায়।
এসো হে বৈশাখ এসো হে স্বপ্ন এসো হে আগামী
এসো হে পাখির কুহুতান।
নতুন করে ফুটুক ছড়িয়ে যাক সবুজের ঘ্রান।
এসো এসো এসো হে পহেলা বৈশাখ।
সাজুক হে প্রেমিকার কানের দুল
এলোকেশে গুজুক তারা রক্তগোলাপ ফুল।
এসো হে মাটি এসো হে বৃক্ষ এসো হে সবুজ ঘাসের বন।
এসো হে বৈশাখ এসো হে স্বপ্ন
এসো হে আগামী
"রাঙা হাসি রাশি রাশি "
রবি ঠাকুরের গান।
এসো হে বৈশাখ এসো হে পহেলা সাদর আমন্ত্রণ।