হে আমার চন্দনগন্ধা নারী,
ইউক্যালিপ্টাস-মসৃণ তোমার ত্বক;
নারিকেল ঋজু দেহকান্ডে মেহগনির স্থাপত্য;
নিমের ছায়াঘেরা আঁখিপল্লবে
বিদ্যুৎ ঝলক কিভাবে লুকাবে ?
সোনাঝুরি চুল নাকি তমস অমানিশা !
চুল থেকে নখ, বাঙময় সে ভাষা;
যে ভাষা প্রজাপতির, বাবুইয়ের, বল্মীক
বা, প্রকাশোন্মুখ সৃষ্টির যা কিছু প্রতীক।
দূর্বার থেকে, পলাশের থেকে, আমলকীর থেকেও
বুঝি, কণা কণা আহরণ করে
সৃজনে মেতেছো তুমি;
বনস্পতি তুমি -
আমার হৃৎপিন্ডের গভীরে প্রোথিত তোমার শিকড়;
এত প্রাণ কোথা থেকে তুলে আনো !
আনো, আবার নিঃশেষে বিলিয়ে দাও আমাকেই;
অরণ্যকন্যা,
বনজ্যোৎস্না দুহাতে মেখে
সে হাত রাখো আমার বুকের উপর...
শুধু প্রাণ নয়, কিছু প্রেমও দিয়ো ।।