পর্দা লাগাবো বলে পেরেক খুঁজছিলাম
খুঁজতে খুঁজতে পেলাম এক ঘড়ির কৌটো -
স্মৃতি ঝাপটিয়ে হাতে উঠে এলো মায়ের
স্ফটিকের হার, মাটির বালা, চুলের কাঁটা।
টেলিফোনের বাক্স, তাতে যত্নে রাখা
দিদার কিশোরী বয়সের হাতের কাজ।
আমার প্রথম গানের খাতা,
বহুযুগের ওপার থেকে বাবার চিঠি, আদরমাখা।
দুটো পেরেক খুঁজতে গিয়ে চোখে পড়লো -
রাঙিয়ে দেওয়ার আগেই শুকিয়ে যাওয়া
রঙের কৌটো, ব্রাশ;
ফলবতী হবার প্রতিশ্রুতি বুকে নিয়ে
নিশ্চুপে ঘুমিয়ে থাকা লাউ, কুমড়ো, শশার বীজ,
চাবি হারানো তালা, কালি শুকানো কলম,
জামার বোতাম, হোটেলের বিল, বিবর্ণ পত্রিকা
আরও কত কি!
আরও কত কীই যে এভাবে
থেকে যায় গৃহস্থের সংসারে, অগোচরে!
লক্ষীর ঝাঁপিতে থেকে যায়,
কিছু অদরকারী, কিছু অমূল্য, কালাতীত ;
সম্পর্কের ঝরাপাতাও থেকে যায়, কত না
পর্দা ঢাকা, প্রকাশ্য দৃশ্যমানতার আড়ালে।