ছোটবেলায় আমার ভোরের জানলার পাশে
একটা পাখী রোজ খুব অদ্ভুত সুরে ডাকতো।
কীরকম যেন মন কেমন করা ডাক ছিল ও'র;
আমি কোনোদিন পাখীটার নাম জানতে চাইনি -
শুধু আমার নিষ্পাপ সকালগুলো ও'র সুরে ভরে থাকতো।
আমার আকাশ তখন অনেক বেশী নীল ছিল।
জীবন তার বহুমাত্রিক জটিলতার চক্রব্যূহে
আমাকে অভিমন্যু করতে পারেনি তখনও।
পরীর মত মায়াবী স্বপ্নরা সেদিন
আমার চারপাশে ঘুরে ঘুরে বেড়াত;
পৃথিবীতে অনেক বিস্ময় তখনও বাকী ছিল।
আমার সেই নরম সকালগুলোয়
পেয়ারার ডালে ল্যাজ ঝুলিয়ে বসে,
ও যে কী প্রশ্ন রেখে যেত আমার জন্য -!
অনেকগুলো বছর পেরিয়ে এসে আজ
আবার সেই ডাকটা শুনে আমি চমকে উঠি!
চালসে ধরা চোখে ভালো করে ঠাহর করার চেষ্টা করি;
হ্যাঁ, জানলার কার্নিশে বসে সেই পাখীটাই তো!
আমি বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু ও'র বয়স বাড়েনি।
আমার বুড়ো ডালগুলো আবার
কচি পাতায় পল্লবিত হতে চেয়েও পারল না;
এই বিষন্নবেলায় ও যে কেন ফিরে এলো!