জনপ্রিয় এক চিত্রতারকার উস্কানিতে,
কপালে রসকলি আঁকা মফস্বলি বাদামওয়ালা,
তার গ্রামীণ স্ত্রীকে - চুমু খেলেন,
চোখ ধাঁধানো ঝলমলে মঞ্চে,
আদেখলা জনসমক্ষে;
যাত্রাপালা চ্যানেলে প্রাইম টাইমে এই দৃশ্য
আমার ৪২ ইঞ্চি টিভিতে, কোকের গ্লাস হাতে
দেখতে দেখতে ভাবছিলাম -
প্রত্যন্ত গ্রামে গণহত্যার আধপোড়া লাশ
না, গনধর্ষিতা গৃহবধূর জবানবন্দি,
কোনটা, এর থেকে বেশী মনোরঞ্জক!
গেঁয়ো বাহুবলীর অণ্ডকোষে গন্ডগোল,
না, দি-ভীষণ বেঞ্চের দয়ায় ছাড় পাওয়া
গালে ভুঁড়ি শিক্ষামন্ত্রী,
বঙ্গদেশের অগ্রগতির কোনটা বেশী পরিপন্থী
এই নিয়ে, 'শুনলে পিছিয়ে পড়তে হয়' চ্যানেলে
শ্যাল-কুকুরে খেউড় চলছিলো
...
অন্য চ্যানেলে, কর্মখালি গ্রামের
নির্যাতিতা মেয়েটির এত ছেলেবন্ধু কেন ছিলো
আর, তার হাভাতে বাবা কেন দেরিতে থানায় গেলো -
দলনেত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাতে,
পালিত জ্ঞানপাপীরা ব্লা-ব্লা-ব্লা... টি.আর.পি. বাড়াচ্ছিল।
...
এই সময়ে, ফ্ল্যাশ নিউজ-
দেশনেতা মাঙ্কিবাতে বলেছেন, সামান্য খরচায়
দেশের চার প্রান্তে হনুমানজী বিরাজ করবেন!
নিশ্চিন্ত হলাম - দেশের অগ্রগতি
আর কেউ ঠ্যাকাইয়া রাখতে পারবা না!!