পীনোদ্ধত যুগলশংখ, বিপজ্জনক
চোখ ইশারায় ডাক দিয়েছে আদিমকে আজ।
আদিম দেখেছে, আপেল তলায় দাড়িয়ে আভা;
দুচোখে তার লজ্জা এবং ব্রীড়া মাখা।
আগ্রহী সে, হাতের মুঠোয় নিষিদ্ধ ফল,
স্ফুরিত ঠোঁট, শরীর জুড়ে প্লাবন ঢল।
দেখতে দেখতে আদিমেরও ঘোর লেগে যায়,
বুকের ভিতর তাদ্রিম তাদ্রিম মাদোল বাজে,
পেশীতে, শোণিতে অজানা কোন উন্মাদনায়,
লোহিতকণারা অশ্বের বেগে দ্রুতগামী হয়;
জড়িয়ে আভাকে, দু বাহুর বেড়ে হালকা পায়ে,
আদিম এনেছে নিবিড় পত্রকুঞ্জছায়ায়
প্রথম রিপুর বশে আদিম মগ্ন আভায়,
রোমাঞ্চিত পর্বতে, বনে, উপত্যকায়,
ঘূর্ণিত চোখ, শিহরিত রোম, আগ্রাসী জিভ
নদীখাত ধরে লাল সংকেত, পথ পিচ্ছিল ;
রিরংসাতে কাতর ওরা লগ্ন দুজন,
শরীরে শরীর রোমন্থনে ছুটছে আগুন;
পাগলা ঘোড়ায় সওয়ার ওরা, জয়ের নেশায়
হারিয়ে গেছে জগৎ, কখন থমকে গেছে সময়;
শীর্ষজয়ের আনন্দেতে বিভোর হয়ে,
উদ্গীরিত লাভার স্রোতে তলিয়ে গিয়ে,
ভাসতে ভাসতে ঠেকলো কোনও নতুন চরায়
মাথার ওপর বিরাট আকাশ, সাক্ষী তারার;
অবসন্ন দেহ, পরিতৃপ্ত মন, নারী-নর
ভালোবাসার জোরে বাধলো নতুন ঘর।।