স্বাধীনতা? ওতো শুধু একটা নাম।
যার প্রলভনে বুক বাঁধে,
কত শত হতভাগ্য তরুণীর দল,
সংসারের যাতাকলে আরষ্ট ওরা,
চোখে হাজারো সপ্নের কাব্য রটে,
মনে বোনে রঙীন কল্পনার জাল।
অঙ্কুরিত অযন্তে ফোটা কুঁড়িগুলো,
বসন্তের রুপ,রস,সৌন্দর্য হতে নিদারুন ভাবে বঞ্চিত।
এহেন মিথ্যে স্বাধীনতার আস্ফালনে,
ওরা বঞ্চিত,লাঞ্ছিত ।
অপ্রাপ্তির দোরগোড়ায় দাড়িয়ে,
বুকে পাথর চেপে মুখে মেকী হাসি মাখে,
চিবুক ভেজানো মাজরাতের গল্পগুলো,
চাপা পড়ে যায় কোন এক অজানা উল্লাসে।
তাদের আর্তনাদে সাক্ষী থাকে,
একটা বিষন্ন অমাবস্যার রাত।
ওরাও দেখেছিল স্বপ্ন,মাথা উচুঁ করে;
বুকচিতিয়ে দাঁড়াবে মহানগরের বুকে,
কিন্তু কোথায় হায়!
নরখাদকের অত্যাচারে নগ্ন দেহখানি ভূলন্ঠিত আজ।
এ বিকৃত সমাজ নারীকে ভাবে ভোগ্য,
সদ্য জন্মানো তনয়ারা ক্রমেই বুঝে যায়,
এই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা তাদের বস্তু নয়।
তারা পায় ভয়, সয়ে যায় কঠর শাসন, বুকের গহীনে ব্যথা লুকায়;
আর তৃষ্ণা মেটায় বেড়ার ফাঁকের একফালি জোৎস্নায়।
চৌকাঠ থেকে পিছিয়ে নেওয়া প্রতিটা পা জানে,
কত সপ্নের দিয়েছে তারা বলিদান।
শুধু নামের স্বাধীনতা নয়,
তাদের অপেক্ষা একটা মানের স্বাধীনতার।।