কত বছর আগে ফেলে এসেছি তোমায়
আজ ও পিছু ছাড়লে না তুমি।
ক্লান্ত দিনের আবছায়া আলোতে
শহরের পিচ ঢালা রাস্তায়
খুজে চলেছি বিচরন ভূমি।
আকাশের গাংচিল আর তপ্ত রৌদ্রের বিল
আজ যেনো সূদুর প্রবাসী।
দূরন্তপনা শান্ত হয়নি
শরীরের ঘাম শুকিয়েছে শরীরে।
মায়ের বকুনি পাড়ার নালিশ
গায়ে লাগেনি একদমই।
বৃষ্টির দিনে খেলায় মেতেছি মাছ ধরেছি খালে-বিলে
এই নিয়ে মা বাবাকে বলেছে
আর পারিনা-
ঠেকাও তোমার দস্যি ছেলে।
ঠাকুর মা কয়-
অশান্ত ছেলে তুই কি কখনো হবি নে শান্ত
দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবো এখুনি না দিলে ক্ষান্ত।
রাতের বেলায় উঠোনেতে বিছিয়ে মাদুর পাটি
ঠাকুর মা খুলতো তার রূপকথার আটি।
রাক্ষস-খোক্ষস,দৈত্য-দানব কত বড় বড়
আমি তখন শান্ত ছেলে ভয়ে জড়সড়।
একটা ঘোড়া কিনেই তবে যাব রাক্ষস দেশে
রাজকন্যাকে উদ্ধার করে আনব আমার সাথে।
ধীরে ধীরে চক্ষু বুঝে গিয়েছি ঘুমের দেশে
সকাল-বেলায় উঠে দেখি রাজকন্যা নাই পাশে।
মন খারাপের আগে বন্ধুরা সব হাজির
আম চুরি করবো আজই চৌধুরীদের বাড়ির।
আমার শৈশব কেড়ে নিয়েছে যত সাত বছরের ছেলে।
আমি শান্ত হয়ে ক্ষান্ত
ক্লান্তি করেছি বরন।।