ফিরে এসো নাৎসি
ফিরে এসো নাৎসি-
শুকে দেখ তোমাদের ফেলে রাখা খাবারের উচ্ছিষ্ট
কি উৎকট গন্ধে দুষিত করে পৃথিবীর বাতাস!
বিংশ শতাব্দীর খোঁয়াড়ে জন্মানো পদে পদে পোড় খাওয়া
হিটলার – সত্যি শকুন চিনতে ভুল করে নি ।
হায়রে ছদ্মবেশ! মানুষের লেবাসে জন্মায় শকুন।
স্বর্গীয় হাসনাহেনার গন্ধ যে নাকে সুড়সুড়ি দেয় প্রতিনিয়ত
তা কি শকুনের গন্ধ পায়?
পৃথিবীর রূপ সুধা দেখে দেখে যে চোখ মোহাবিষ্ট থাকে সারাক্ষণ!
সে চোখ কি শকুন চিনতে পারে?
চির নিষ্পেষিত প্যালেস্টাইন! – ওদের প্রতিটি শিশু যখন
মরুভূমির পানিশূন্য প্রান্তরে বয়ে চলা রক্তের নদীতে সাঁতার শিখে
তখন জিজ্ঞাসা কোর কেমন দেখতে হয় শকুনের অবয়ব।
কেমন তার নখের ধাঁর- কেমনে হৃদপিণ্ডের অলিন্দ- নিলয়
টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়?
পৃথিবীতে শকুনের কোন দেশ নাই, ওদের আবাস-
ঘৃণা, দারিদ্র ক্ষুধায় জর্জরিত মৃত গলিত শরীর
যাদের জীবিতরা অবহেলায় কবরে পর্যন্ত শুয়ে রাখে না ।
মুসা তুমি চোখ বন্ধ করে রাখ চিরতরে -
দেখ না কখনও তোমার স্বজাতির ধৃষ্টতা!
নইলে যে তুমি তাওরাতের সোনার ফলকগুলি
শুধু মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিবে না – রাগী মুসা
তুমি হয়ত পবিত্র তাওরাত টুকরো টুকরো করে
ছিঁড়ে ফেলতে!
তোমাকে অতি জেদী বানিয়েছে যে জাতি
যে জাতির অকৃতজ্ঞতা আর ধৃষ্টতায় মেজাজ বিগড়ে
তুমি চেপে ধরেছিলে প্রিয় সহদরের গণ্ডদেশ।
চেয়ে দেখ তারা আর মানুষ নাই
শকুন হয়ে উপড়ায় মানুষের চোখ।