আর কতকাল নিজেকে অপ্রকাশিত রাখবে বিচিত্রা? রাখো,
আমিও আমার বিভব সঞ্চয় করে রাখছি প্রতিনিয়ত ।
প্রলয়ংকারি ঘূর্ণিঝড়ের আগে যেমন শক্তি সঞ্চয় করে বাতাস।
তারপর প্রবল নৃত্যে সহসা দুনিয়া তোলপাড় করে দিয়ে যায়।
আমি তেমনি আমার ভালবাসার ফারাক্কা ভেঙ্গে দিব একদিন
বিক্ষুব্ধ ত্বরিত জল তরঙ্গে ভাসিয়ে দিব তোমার বাংলাদেশ।
যেদিন তোমার দেখা পাব প্রথম -
আমার জমিয়ে রাখা ভালবাসায় স্নানরত তোমার ভেজা চুল
রোজ স্বপ্নালোকে আমায় শিহরণ দিয়ে যায় শিশিরসিক্ত ঘাসের মত।
কখনও আকাশের নক্ষত্ররাজী গভীর অনুরাগে নিরীক্ষণ করি-
যদি দুরাকাশের কোন তারায় ভেসে ওঠে তোমার প্রতিচ্ছবি।
আপন খেয়ালে এঁকেছি কত নারীমূর্তি আমার মনের ক্যানভাসে-
রাস্তায় হেঁটে যেতে দেখেছি কত অপ্সরী ক্ষণিক দৃষ্টিকেড়ে।
তারপর ভুলে গেছি থাকেনি স্মৃতিচিহ্ন কোন ঘড়ির কাটার মত ।
আর চলতে চাই না আমি সময়ের পিচ্ছিল পথ ধরে খড়কুটো নিয়ে
আলোক রঙ অবগাহনে আর দেখতে চাই না আমি মিছে রঙধনু
আকাশের ধোঁকাবাজি অনেক দেখেছি এবার শতরঙে রাঙাও বিচিত্রা।
আমার চোখের জলকণায় হোক তোমার বিচ্ছুরন-
আমার নিঃশ্বাস বায়ুতেই প্রতিভাত হোক তোমার আকাশের নীল।