আজ একটা সত্যিকারের প্রেম কাহিনী শোনাব-
উত্তর মেরু – দক্ষিণ মেরুর প্রেম।
শুরুটা কবে থেকে- মনে করতে পারে না কেউই।
হয়ত জন্মলগ্ন থেকেই -
যখন তারা বুঝতেই পারত না নিজেদের ভিন্ন অস্তিত্ব।
সবসময় ভাবত একই সত্ত্বা যেমন দৃষ্টিতে দুটি চোখ
শ্রবণে দুটি কান – ঘ্রাণ ইন্দ্রিয়ের দুটি নাসিকাছিদ্র।
শৈশব –কৈশোর এভাবেই চলে যায় -অভিন্ন সত্ত্বায়।
লাল কাপড়ে চোখ বেঁধে কখনও দিতে হয়নি ভালবাসার সংজ্ঞা,
বুঝতে হয়নি প্রেম কি?
যৌবনে সূচনালগ্নে হটাত প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আবির্ভাব ঘটে-
পূর্ব –পশ্চিমের ইশান –বায়ু , অগ্নি আর নৈর্ঋতের
সাথে এই পৌনে আটহাজার মাইলের ব্যবধান।
যাকে তোমরা পৃথিবী বল যার বাইরে সজীব প্রাণ
আর শীতল প্রশান্ত প্রবাহিত আর ভেতরে সূর্য সম উত্তাপ।
তারই দুটি প্রান্তের গল্প, একপ্রান্তে উত্তর আর একপ্রান্তে দক্ষিণ।
সমস্ত উত্তাপ ছেপে বাঁধা –বিঘ্ন পেরিয়ে তাদের দুর্দান্ত আকর্ষণ।
সময়ের প্রবাহতরঙ্গে সাতার কেটে কোন লাভ নেই
কখনও মিলন হবে না জেনেও কেন এত প্রেমেরস্ফীতি?
অনেক কেঁদেছে তারা, শোকে বিরহে চোখের জল শুকিয়ে গেছে।
এখন তাদের হৃদয়ে আর কোন উত্তাপ নেই-
আছে শুধু কঠিন শীতল বিশাল সব বরফখন্ড।
তাদের চোখে রাত নামলে আর দিন ফিরে আসে না-
ক্লান্ত অবসন্ন মধ্যহ্ন পেরিয়ে আর রাত নামতে চায় না।
একদিন বিয়ে করে তারা-
উত্তর ঈশানকে আর দক্ষিণকে নৈর্ঋত।
মন থেকে ভালবেসে নয় নিছক পূর্ব-পশ্চিমের পীড়াপীড়িতে।