এই যে জমিদার ,কটা বাজে ?- সে খেয়াল রেখেছেন?
অফিস কি জাতীয় সংসদ যে মাঝে মাঝে দেখা করে আসলেই
সদস্যপদ বহাল তবিয়তে অক্ষুন্ন থাকবে? নাকি বাপের ক্ষেত ?
ইচ্ছা হয় চাষ করলাম না হয় ভাগী-বর্গা দিয়ে দিলাম! মাস শেষে-
বেতন কি হাওয়ায় উড়ে আসে ? কোন রেস্পনসিবিলিটি নেই আপনার?
অফিস কার্টেসি কি টিকটিকির বাসা বাঁধাবার জন্য ঝুলানো হয়েছে?
দশটা মিনিট, মাত্র দশটা মিনিট লেট হয়েছে- তাই বলে
এতগুলো কথা শুনালেন, বস! দশটা মিনিটই তো
আধাঘণ্টা একঘণ্টা তো আর হয় নি। আসলে হয়েছি কি জানেন-
ছেলেটাকে স্কুলে রেখে আসতে না একটু দেরি হয়ে গেল।
জ্যামের শহর ঢাকায় পাঁচ-দশ মিনিটকে কি কেউ লেট বলে?
জ্যাম জ্যাম এইসব বস্তাপচা পুরাতন টপিক আর কতদিন
শুনিয়ে পার পেয়ে যাবেন? মানিয়ে নিতে না পারলে চাকরি
করতে আসছেন কেন? বাসায় বসে থাকুন না ! জোড় করে
কেউ বেঁধে রাখে নি তো- যত্তসব লেম এক্সকিউজ!
হ্যাঁ – তাই হোক, এই যে ধরুন রেজিগনেশন।
আর আমি দাঁড়ালাম রাজপথে- আজ হিসাব হবে রাস্তার
কতটাকা কর দেন আর কত বর্গফুট দখল করে রাখেন?
কার বের না করলে আপনাদের প্রেস্টিজ ধুলিস্যাত হয়ে যায়!
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন– ডজন ডজন তাই রাস্তায় রেখে দিয়েছেন
বাসায় ফেরার নিরাপত্তার জন্য –শুধু সিটে একটা ড্রাইভার বসিয়ে।
আজ আমি আগুন ধরিয়ে দেব রাজপথে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের মত
তারপর দেখিয়ে দেব আমার বেতন কোথা দিয়ে আসত
হাওয়ায় উড়ে নাকি দিনের পর দিন স্নায়ুছেড়া রক্তবিন্দুর বিনিময়ে?