সন্ধ্যার পরে নামে রাত্রি
আমি চলে যাই লক্ষকোটি বছর আগে
কোন এক ক্ষুদ্র গুহায়
আস্তে আস্তে রাত নিঝুম হয়
অন্ধকারে ছেয়ে যায় পুরো পৃথিবী
গুহার সব পোকামাকড় আমার সঙ্গী
দূরে ঐ হিংস্র দানবের মত্ত
হাসির শব্দ হৃদয়ে উন্মাদনা তোলে।
আমি গ্লাডিয়েটরদের মতো লড়াই
করে বেঁচে থাকি।
রাতের আকাশের অদ্ভুত
সব সুন্দর লক্ষ-কোটি তারা
হাসিতে মশগুল চাঁদ
আমাকে স্বাগত জানায়।
বনের গাছপালা তাদের
কাণ্ড শাখা-প্রশাখা নেড়ে নেড়ে
হাত তালি দেয়।
পৃথিবীর মৃত্তিকা তার এই
মনুষ্য সন্তান নিয়ে গর্ব করে।

আস্তে আস্তে গুহা ছেড়ে বাইরে আসি
ডালপালা কেটে ঘর বাঁধি
আগুন জ্বেলে পাতা গায়ে শুয়ে পড়ি।
নিঝুম ঘুমে হারিয়ে যাই।
তারার নিক্কন- চাঁদের হাসি
বাতাসের গর্জন আর কানে আসে না।
মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি
হিংস্র পশুর সাথে যুদ্ধ করছি
বিকট চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়।
সজাগ হয়ে ভাবি-সেই গুহায়
কাটানো রাত্রির কথা
আধা ঘুম আধা যুদ্ধের কথা
দাঁতওয়ালা দানবের কথা।
যুদ্ধ জয়ের গৌরব গাঁথাকে
রোমন্থন করতে করতে আবার
ঘুমিয়ে পড়ি-নিশ্চিন্ত সে ঘুম।
............চলবে