আমি অট্টালিকা গড়তে আসি নি-
শুধু একটা তাবু – যেন আশ্রয় পায় রোদ বৃষ্টি ঝরে
কোন অবসন্ন পথিক- দীর্ঘ ভ্রমন পথে এক চিলতে প্রশান্তি।
মরুভূমির ধুলিঝরে হয়ত টিকবেনা – জলোচ্ছ্বাসে
হয়ত ভেসে যাবে ক্ষীণ খড়কুটোর ন্যায়।
কিন্তু একটি খুঁটির দাগ যেন না মুছে চিরতরে-
এ আমার ব্যাকুল প্রার্থনা ।
ওই যে পিপীলিকার বাসা ওই যে মৌমাছির আস্তানা
একঝাঁক ক্ষুদ্র প্রাণীর তিল তিল সংহারে গড়ে তোলা
অথচ দেখনা কি ক্ষণিক সরব অস্তিত্ব।
নিমেষেই বানের স্রোতে মিলিয়ে যায় ভূগর্ভে!
কোন দার্শনিকতার ফর্মুলায় নয় – এ আমার বিহ্বল মনের আকুতি।
ব্যবচ্ছেদে -বাস্তবতার প্রোজ্জ্বল দীপ শিখায় আবির্ভাব ঘটে
কোন মিথ্যা নামক সবাক বস্তুর।
তবুও ডুবন্ত শিশুর মত আমার কল্পনার গলাদেশ চেপে ধরে।
বাঁচতে চায় বেড়ে উঠতে চায়- তারুন্য যৌবনে উদীপ্ত হয়ে
শ্যামলে সবুজে ভরে দিতে চায় মরু ঊষর ধরণী
আমার রুগ্ন শিশুস্বপ্নগুলি-
আর আমি তীব্র উচ্ছ্বাসে সমস্ত বাহুবল দিয়ে সাঁতরাই
মহাসমুদ্রের প্রতিটা ঢেউ আমার কানে কানে বলে যায়
“বাঁচতে চাস- তাহলে একঝটকায় ছাড়িয়ে ফেল
ওই ক্ষীণ কুৎসিত হাত – ছুঁড়ে ফেলে দে- ডুবে যাক আমার তলদেশে
চেপে ওঠ আমার ভেলায় আমি তীরে পৌঁছে দেব”।
আমি উপেক্ষা করি শক্তিধরের অনতিক্রম্য আহ্বান।
আমার শিশু স্বপ্নটাকে কাঁধে নিয়ে ডুবতে ডুবতে সাঁতরাই।