কোন এক বৃষ্টিস্নাত বিকালে যেন রাত নেমেছিল ধরণীতে
আকাশের চাদোয়া চিরে অঝরে ঝরছিল শ্রাবন ধারা
কদম- বেলী নিঃশব্দ হাসিতে মেতে উঠেছিল সেদিন।
নিঃসঙ্গ বটগাছটা নিজেকে ঢাকবার আপ্রান
চেষ্টা করেছিল পত্র ছাতায়।
স্বর্গকন্যা নেমে এসেছিল বৃষ্টির ধারা বেয়ে।
যেন ক্ষণিক তড়িৎ কেড়ে নিল দৃষ্টিশক্তি।
তুমি হাতে ছাতা নিয়ে পা টিপে টিপে হাঁটছিলে
গাঁয়ের কাদামাখা রাস্তায় নগ্ন শুভ্র পায়ে
আর আমি রেখেছিলাম দুরন্ত কৈশোরত্বের প্রমাণ
আমি পিছু নিলাম অস্পর্শ চুম্বক টানে
চিনে এসেছিলাম সেদিন আমার কেন্দ্রবিন্দু।
আজ এমনই এক বর্ষণ ঝরা রাতে
আমার মোহময় প্রতীক্ষার অবসান ঘটে তোমার ঘ্রানের ছোঁয়ায়
অমন সলাজ দৃষ্টিতে কেন এঁকে নিয়েছ কান্নার উল্কি?
চেয়ে দেখ আমার অধর কম্পন
আবেশিত এই দেহ তনু মনে ছড়িয়ে দাও
স্নিগ্ধ হাতের পরশ।
বাহুবন্ধনে সনির্বন্ধে হৃদয়ের মেমোরিতে জুড়ে দাও
শ্রেষ্ঠ রাতের স্মৃতি।
যেন আমি যুগ যুগ ধরে ওজনশূন্য অনুভূতি নিয়ে
ভেসে বেড়াই মহাকাশের পথ ধরে।