একদিন আমি শুধু আসি নাই পড়ে কলেজ ইউনিফর্ম
গার্ড বলে কিনা আজকে নাকি স্যারের মেজাজ চরম।
বেজায় নোংরা হয়েছিল তাই ধুয়ে দিছি গতকাল
শুকায়নি বলে আসি নাই পরে তাই বের করে দিবে প্রিন্সিপাল?
শাসিয়ে বলে – গল্প শোনাও! এ যুগে কারো এক শার্ট থাকে নাকি?
হাসালে জনাব কোচিং এ এখনও তিন মাসের টাকা বাকি।
পেটে ভাত নাই ফুটানি দেখ প্রাইভেট পড়িস ব্যাটা!
না হলে শুধু ক্লাশের ভরসায় চুকে যাবে যে ল্যাঠা।
ক্লাশে স্যারেরা পড়াতে আসে নাকি দিতে কোচিং এর বিজ্ঞাপন?
তাও বা আমি দোষ দিব কাকে? – কতই বা পায় বেতন!
যা পায় তা চলে যায় দিতে বর্ধিত বাসা ভাড়া।
চলবে কেমনে সারামাস খোর প্রাইভেট ছাত্র ছাড়া?
এই যদি হয় কলেজের দশা তবে আমি কি বলি স্যার
কলেজের নাম বদলে রাখনা পাঠ্যজ্ঞ্যানের বাজার।
দরদাম করে দু বছর খেটে কিনে নিব সার্টিফিকেট
পণ্যের মান বেড়ে যাবে তার কিনবে যে দামি টিকেট।
স্যার চুপ করে কিপ্যাড চেপে কি যেন কি লিখল
প্রিন্টার দিয়ে ছেপে নিয়ে পরে টিসিটা ধরিয়ে দিল।
বলে হেসে দিয়ে যাও বাবা যাও এত জ্ঞ্যানী হলে পরে
কলেজে রেখে লাভ হবে নাকো- কিবা শেখাব তারে?
তার চেয়ে বরং যাও শমসের বই লিখে ফেল একটা
দীক্ষা তো অনেক পেয়েছ তাতে মিলবে পয়সা এক্সট্রা
বহুদিন পরে গেছিনু সেখানে কলেজটা দেখি নি আর
নামটা বদলে রেখেছে কিনা অধুনা কোচিং সেন্টার!