অ -তে অজগর থেকে আরম্ভ করে ই ইজ ইকুয়াল্টু এম সি স্কয়ার
জোর করে গিলিয়ে দিয়েছ হাজারটা টিউটর দিয়ে।
পেটে গিয়ে গলে পচে যখন আমার অজীর্ণ আমাশয়ে
প্রাণ ওষ্ঠাগত – আর তখন তুমি কমোডে তালা মেরে দিলে।
ঢাকায় কোন পাবলিকে এডমিশন হল না- ঢাকার বাইরে
যাওয়া আমার জন্য মহাপাপ!
হলে থেকে আজেবাজে বন্ধুবান্ধবের সাথে মিশে- ছেলে
তোমার উচ্ছনে যাবে নাহয় ঠিকমত খাওয়াদাওয়া না
করে নায়কের মত চেহারাটাকে কৌতুক অভিনেতা বানিয়ে ফেলবে।
কি আজব থিওরিরে বাবা! সমাজবিজ্ঞানের একটা বই লিখে ফেল না?
হ্যাঁ- অন্তুকে একদিন গাড়ি করে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলাম বলে
যে বাবা বলে কিনা- “যত্তসব ফকিন্নির বাচ্চাদের সাথে উঠাবসা”
তার মুখেই তো এসব কথা বানাবে -না তো কি?
রোবট টাকে এইবার প্রাইভেটে ভর্তি করে দাও – আর সেমিস্টার ফি
দেওয়ার সময় দেওয়ার সময় এককাঁড়ি কথা শুনিও
“ইডিয়ট কোথাকার! এত্তগুলো টাকা জলে ঢাললাম”
এই বুঝি তোমার মসনদ কেঁপে কেঁপে উঠে ধ্বসে পড়ল।
থাক তোমার সাম্রাজ্য নিয়ে- আমি চললাম- মিশে যাব
তোমার কারখানার মূল স্তম্ভের সাথে- তারপর এমন নাড়া
দেব যে তোমার পুঁজিবাদের মূলতত্ত্ব উপড়ে ফেলব মুহূর্তে।
ব্যাংকের প্রতিটা ভল্টের তালা খুলে ছিটকে পড়বে দিগ্বিদিক
আর তাও যদি না পারি তবে আমি আসব একদিন- অবশ্যই আসব
তোমার মোহ স্বর্গের দুয়ারে- যেদিন তোমার চারদিকে ফুলের
বন্যা বয়ে যাবে আর তুমি থাকবে ভাবলেশহীন- এসে তোমার
পূজ্য প্রাসাদটাকে তোমার সঙ্গী করে দিব।