মুক্তিদাতা আবারও আসবেন এই ভবে
শুধায়ে ছিলেন ধরণীর শেষ দিনে আবারও দেখা হবে।
শেষদিন বোধহয় অতি সন্নিকটে,আসছে বিষম ধেয়ে,
অন্যায়-অত্যাচার,পাপ-কালিমায়, ভুবন যে গেছে আজ বিষণ ছেয়ে
মানুষের অন্তরে আজ বিষাদে ভরা, শুধুই হানাহানি
এই যুগে আজ কজন মানে, সত্য ঈশ্বরেরই বাণী
যুগে যুগে কত দূত ভগবান,পাঠিয়েছন এই সংসারে
কত নিদর্শন দেখিয়েছেন তিনি আমাদের বারংবারে
তবুও মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে, হারায় জাগতিক মোহে
কর্মের প্রতিফল কর্মেই মিলে, অনিষ্ঠের ফল দ্রোহে ।।
আছে কি কোন স্বর্গমর্ত এই ভবে?
নাস্তিকেরা বলে স্বর্গমর্ত বলে কিছুই নাই পৃথিবীতে,এটাই সত্য হবে
ধর্মের আচার ও বিচার মানিয়া তাই, কি লাভ হবে ?
কিন্তু স্বর্গ-নরক না থাকিলে পাপ- পুণ্যের বিচার হতো কি তবে ??
স্বর্গ আছে বলেই পৃথিবী এখনো আছে এতো সুন্দর সুখময়
নরক আছে বলেই পৃথিবীতে মানুষ পাপকে করে ভয়
শূন্য হাতে এসেছিলে একদিন,এই সুন্দর ত্রিভুবনে?
আবার শূন্য হাতেই পাপ-পুণ্যের হিসেব চুকাতে, মিলবে স্রষ্টার সনে
টাকা-কড়ি,যশ-খ্যাতি, সবই রবে অগোচরে পরে
কিছুই যাবে না সঙ্গে করে,সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
এ কথাটিই ভুলে যাই,আমরা অন্ধবিশ্বাসী জনা
সময় থাকিতে শুচি কর মন,কর ঈশ্বরের আরাধনা ।।
আছে কি কোন দৈব-শক্তি এই ভবে ?
নিরীশ্বরবাদীরা ভাবে তত্ত্বজ্ঞান ব্যতীত নাই ঐশ্ব শক্তি,এই ভুবনে তবে ?
ধর্মের আচার আর ঈশ্বর বিশ্বাস নাই,কেহরই অন্তরে
তাইতো জগৎজুড়ে জুড়ে আজ মৃত্যু বিভিসিখা, ঘুরছে কেমন করে
ঈশ্বরের নাম না জপে আজ,ব্যস্ত ডিজিটাল যুগ
যান্ত্রিকতাই কেঁড়ে নিয়েছে আজ,এই পৃথিবীর সুখ ।।
ছয় বিলিয়ন মানুষকে আজ,করিবে কে উদ্ধার ?
ঈশ্বর ছাড়া কে আছে আর,এই জগৎ সংসারের মূলধার
বিপদে পরলে মানুষ জপে,ক্ষণে ক্ষণে ঈশ্বররই নাম অবিরত
দয়াল প্রভুই যে উদার অমেয়,রক্ষিবেই আসুক বাঁধা-বিঘ্ন যত ।।
আছে কি কোন শান্তি এই ভবে?
যদি শান্তি না থাকে অন্তরে,তাহলে কু-কর্মে বেঁচে কি লাভ হবে ?
পৃথিবীর মাঝে শান্তির চেয়ে অশান্তিই আজ বেশী
জাত- পাত, ধর্ম-বর্ণের মাঝেই হচ্ছে যে রেষারেষি !
মানুষই এখন অধিক জ্ঞানের অধিক সন্ন্যাসী
সাততলা আসমানের উপর জমিন বানিয়ে,হতে চায় পরবাসী
বিভ্রান্তে অন্ধবিশ্বাসে মানুষ মত্ত,সমরের পর সমর
সত্য পথে গুরুর সাধন না করিলে,হইবে কি কেউ অমর?
সাঙ্গ কর যত পাপতাপ,শান্তি খোঁজরে নিত্য
অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো,জেনো ঈশ্বরই কেবলই সত্য।