সূর্‍্যের অগ্নিস্নানে জন্ম নেয় শক্তি – জন্মান্তরের মন্ত্র জানে সে
পূর্বজন্ম–পরজন্ম : যাওয়া আসার দুটো রাস্তাই খোলা
তাঁর বহুগামী চরিত্রে, ভাঙনে-গড়নে যোগ বিয়োগের ফল শূন্য –
শক্তি সম্পর্কে এমন কথাই বলেন বিজ্ঞানীরা।

এদিকে গণতন্ত্রী তোতাপাখিরা গলা চড়ায় – জনগণই শক্তির মা-বাপ;
ওই সুরটাই শোনা যায় সংবিধানের পবিত্র অক্ষরে – যার সতীচ্ছদের
ইতিহাস লিখা আছে ঐ তোতাপাখিদেরই ঠোঁটে।
  
মাঝে মাঝে দু’একটা শুশুক ভুস করে মাথা জাগিয়ে বলে ওঠে,
বন্দুকের নলই সকল শক্তির উৎস
দু’চারটা ঠুসঠাস – শুশুক ডুব দেয় আবার।
  
ওদিকে কটা শাস্ত্রখোর হুংকার দেয় - সকল শক্তি ঈশ্বরের।
ঈশ্বর ধরফর করে চোখ কচলে খোঁজে –  কী হচ্ছে ওখানে!
ঝামেলায় না গিয়ে তিনি আবার ঘুমিয়ে পরেন।

এখানে গোরস্তানের দেয়ালে ঊআশি বছরের শক্তিহীন হাতটা রেখে
ভূমিহীন নান্নুশেখ আজন্ম তাঁর সাথে
শক্তির প্রপঞ্চের অংকটা এখনও করেই যাচ্ছে-
গণতন্ত্র, বন্দুক, ঈশ্বর তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে
সূর্যটাও একইভাবে পুড়ে চলছে – শুধু শক্তির সময় নেই এখানে আসার।  
            ********