তোমার আমার মিলনসূত্র - কোথায় যেন আটকে যায়।
কিশোর বয়সেই বুঝেছিলাম, তোমাকে পেতে টাকার কুমীর হতে হবে;
আমি কুবেরের মাণিক্য ভাণ্ডার থেকে
নিযুত যুগের সঞ্চিত সম্পদ তোমার জন্য এনে দেখি -
তুমি এখন আর টাকা চাওনা,
এখন তোমাকে পেতে হলে, আমাকে বিখ্যাত হতে হবে।
আবার ছুটলাম - সরস্বতীর বর নিয়ে অন্যপথে;
দানে-ধ্যানে মিডিয়াজগত দাপিয়ে আঁতেল উপাধি নিয়ে
ফিরে এসে দেখি - হায়, তুমি হয়ে গেছ নিস্কাম বৈরাগী।
আমি যখন বুর্জোয়া, তুমি তখন নিখাদ বামপন্থী;
আবার যখন সব ছেড়ে আমি সাম্যবাদের দিকে
তুমি দেখি গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে ধনতন্ত্রকেই ব্রান্ডিং কর।
পাশ্চাত্যের বিজয় চিহ্ন দেখে,
ওদের ধরব বলে উর্দ্ধমুখে ছুটতে ছুটতে শিখরে উঠে শুনি
তোমার রথ নাকি সহস্রাব্দের জড়তা ছেড়ে আবার এশিয়ামুখী।
তোমাকে বুঝতে আমার কয়েকদণ্ড দেরী হয়ে যায়
তাই বিঘত খানি দুরত্ব আর ঘুচলই না ।
হে সময়, নিষ্ঠুর মহাকাল – তবু আমি খুঁজেই যাব
তোমাকে ছোঁয়ার মিলনসূত্র -
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, চৈতন্যের নতুন উপলদ্ধিতে;
আর চিহ্ন রেখে যাব তোমার রথধ্বজে ।