***

পূর্বাঞ্চলের অন্ধকার থেকে উদ্ভাসিত হয়ে,
আদিত্যকন্যা বিচিত্র ঊষাসমূহ-
যজ্ঞের যূপকাষ্ঠের মত শোভমান;
সকল আঁধার সমূহের দ্বার উদঘাটন করে,
দীপ্তমান ও পবিত্র হয়ে প্রকাশিত হও।

হে কান্তিশালী জ্যোতি,
অপ্রীতিকর অন্ধকারের মাঝে সুপ্তরত
সকল সৃষ্টিরাজিকে কার্যসমর্থ করো।
পৃথিবীর বুকে তমসা নিবারণ করে,
তোমাদের আরাধনাকারী ঋষিগনকে
ধন প্রদানে উৎসাহিত করো।

হে দ্যুতিমতী ঊষাসমূহ,
তোমাদের বহুরূপী আবির্ভাবে-
পৃথিবীর পরিমন্ডলে ঋতুরাজ পরিভ্রমন করে।
সকল নিদ্রিত প্রাণকূলের মাঝে
জীবনের আলোকচ্ছ্বটা ছড়িয়ে দিয়ে,
তাদেরকে নিজ নিজ কার্যে নিবেদিত করো।

হে ধনবতী দেবীকারাজি,
যে রথ দ্বারা সপ্তছন্দ উচ্চারণকারীকে
তোমরা আলোকবর্ণে প্রদ্বীপ্ত করেছ,
সেই সকল রথসমূহ পুরাতন বা
নতুন রূপে পৃথিবীতে ফিরে আসুক।

ঊষাসমূহ একরূপ বিশিষ্ট,
শুদ্ধ ও কান্তিপূর্ণ শরীরের দ্বারা দীপ্তিযুক্ত;
পূর্বদেশ থেকে জাত হয়ে-
মহান আঁধাররাজিকে গোপন করে,
সকল যজ্ঞগৃহকে আলোকিত করো।
যে সকল পূণ্যাত্মা যজ্ঞকারীগন,
স্তব-স্তোত্র ও শাস্ত্রের বিধিতে
ঊষাদেবীগনের আরাধনা করে-
তারা কল্যাণকারী দেবীর অনুগ্রহে
শ্রীঘ্রই প্রতিপত্তি ও ধনলাভ করেন।

হে কান্তিমতী আদিত্য দুহিতাগন,
আমরা সুখলাভের আশায়-
যজ্ঞের পুরোহিত হয়ে তোমাদের প্রার্থনা করি;
তোমরা আমাদেরকে পুত্র-পৌত্রাদিসহ
লোকমধ্যে কীর্তি ও ধনশালী করো।
ভ্যুলোক ও দ্যুলোক চিরস্থায়ী রূপে-
ঊষাসমূহের যশ ধারন করুক।

***