***
আমার সাথে তোমার
মনের মিল হয়না,-
আমাদের মাঝে কোন সিদ্ধান্তে
কখনো একমত হতে পারিনা।
আমরা দুজনেই ভিন্ন জগতের বাসিন্দা।
তবুও তোমার সাহচর্য
আমার অভ্যন্তরে শিহরন জাগায়।
তোমার শরীরের প্রতিটা ভাঁজে-
যে লাজুকতা লুকিয়ে ছিলো,
সেসব আমায় মন্ত্রমুগ্ধ করে।
আমি তোমার অপ্সরা শরীরের প্রেমে পড়ে গেছি!
তোমার অপূর্ব শারীরিক গঠনের সামনে,
আমার ভদ্রতার মুখোশ খসে পড়ে।
আমি অসহায় হয়ে-
তোমার যৌবন সাগরে ডুব দিই;
তুমিও আমায় সাদরে গ্রহন করো-
তোমার অপূর্ব শারীরিক লিপিমালায়।
প্রাথমিকভাবে, স্বপ্নই ছিলো তোমার সাথে মিলনের একমাত্র মাধ্যম!
এক একটি দীর্ঘকায় রাত আমরা
পরষ্পরকে হয়তো কামনা করেছি!
যেহেতু, তোমার সাথে আমার
প্রতিনিয়ত দ্যাখা হতো
সামাজিকতার খাতিরে,-
কিন্তু, বন্ধুসুলভ আচরনের অভাবে,
আমাদের কথোপকথন ঘরশূণ্য ছিলো।
তুমি যেমন আড়চোখে
আমার সুগঠিত শরীর দ্যাখো,
তোমার চোখে আবেশের দ্যুতি খেলে যায়;
আমিও তেমনি অশ্লীল উপচে পড়া দৃষ্টিতে,
তোমার উদ্ধত যৌবনের প্রতিটি বর্ণিত ছন্দে হারাই।
তুমি জানো, আমি
একান্তই তোমাকে চাই,
আমাদের মনের মিল না হোক,
আমাদের সৌন্দর্যমন্ডিত শরীরদ্বয়-
পরষ্পরকে বৈদুতিক চৌম্বকপ্রাবল্যে
আকর্ষন করছে।
যে আকর্ষন হতে কোন নিস্তার নেই,
তাকে নিয়তির হাতে-
ছেড়ে দেওয়াই ভালো হবে।
চলো, আমরা দুজনের শারীরিক স্পন্দনে আলোড়িত হবো!
তোমার শরীরের ঘ্রাণ,
আমাকে মধুপিয়াসী ভ্রমরের ন্যায়
মুগ্ধ করে তোলে।
আমার চলরেখা অনুসরন করে
তুমিও সাহসী হয়ে ওঠো!
নিজেকে মেলে দাও,
নিরাবরণের বেড়াজাল ভেঙে-
প্রস্ফুটিত গোলাপের আবরনে।
আমরা আমাদের মনকে ভুলে যেয়ে,
প্রতিনিয়ত স্পর্শের আনন্দে হারাই।
সখী, আমি তোমার প্রেমে পাগল প্রায়!
তোমার শরীরের মাদকীয় ঘ্রাণ-
আমাকে বলিষ্ঠ পুরুষ হতে বাধ্য করে।
অনুভূতিহীন সময়গুলোতে-
আমরা পরষ্পরের শরীরে চড়ি!
এতেই বোধহয় পৃথিবীর
যাবতীয় সুখ নিহিত আছে।
কিন্তু মিলনশেষে আমরা
একে অপরকে চিনতে পারিনা,-
যেহেতু, আমাদের ভেতর ভালোলাগা,
ভালোবাসা নিয়ে কোন কথা হয়নি-
সময়কে সাক্ষী রেখে,
আমরা যে যার নিজস্ব জগতে ফিরে যাই।
***