♣♣♣

স্থিরাবস্থায় ধ্যানমগ্ন কোন সাধুকে দেখে
জড়-স্থবির ভেবো না;
হয়তোবা সে নিজেকে সুপ্তাবস্থায়
গুটিয়ে নিয়েছে-
ঋষির শরীর অনুভূতিশূন্য
জড়পদার্থে পরিনত হয়েছে,-
অথচ তার মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠে
অজ্ঞান তপঃজ্ঞান ঘুরপাক খায়।

যেমনিকরে শুয়োকীট তার
গুটির অভ্যন্তরে মূহুর্তান্তরে বিবর্তিত হয়;
তার বিবর্ণ চেতনে খেলা করে-
এক প্রগাঢ় উদ্ভাস।
অতঃপর গুটি কেটে বেরোয়
সৌন্দর্যমন্ডিত এক রঙীন প্রজাপতি।
ধ্যানরত মুনিও তেমনি-
তার বহিরাবরণ ত্যাগ করে
প্রদীপ্ত সুক্ষ্ম শরীরে ভাসমান।

মহাকাল তত্ত্বজ্ঞান অর্জন শেষে
তার সুক্ষ্মরূপ যখন
জড়দেহে চেতনা ফেরাবে-
তখন সে আর আগের লোকটি রইবে না।
বিগত সময়গুলোতে তার ভেতরে
ঘটে গ্যাছে এক চিরস্থায়ী রূপান্তর।

♣♣♣