♦♣♦
ও আমার সখী,
একটু দাড়া দ্যেখি-
চল তোর সাথে প্রেম করি;
আকাশ মেঘলা,
বাতাস রঙীলা,
পরিবেশটাও বেশ খোলামেলা।
উহহ্! মনে বড় জ্বালা-
ও প্রাণের সখী,
করিসনা অবহেলা।
ভর দুপুরে বেরোই
সখীর বাড়ি যেতে,
আমার পোষা ডগ
সেও চললো সাথে।
কারেন্টের খুঁটির পাশে দাড়ায়ে-
রোদের মইধ্যে খাড়ায়ে,-
রিকসা পাইতে দম বেরোয় যায়।
কিন্তু ভাগ্য ভালো-
এক পোলা ছিল কালো
রাস্তার মইধ্যে দাড়ায় বিড়ি খায়;
তারে কইলাম,
ভাই একটু উপকার কর-
এই নে, একশ টাকা ধর;
আর তোর বাইকে দিয়ে ঘা-
আমার সখীর কাছে নিয়ে যা।
সখী, তুই চিন্তা করিস নারে-
সখীরে, আমি তোর সাথে
দ্যাখা করতে যাইরে।
স্নান করেছি আজকে-
তোরে কইছি রানতে,
তোর জন্য গায়ে মাখছি ছেন্ট;
তুই তো ভালো রান্ধিস-
পেয়াঁজ কাটতে বসে কান্দিস,
পেট ভরে খাওয়ার জন্য পরছি ঢিলা প্যান্ট;
তরকারীতে ঝাল দিস ম্যালা!
সকালে রানতে বসলে উঠিস রাতের বেলা,-
আর ভুল কইরা নুন দিস নাই;
তাও তোরে ভালোবাসি বলে-
তোর হাতের রান্না খাইতে যাই।
খাইতে বসে দ্যেখি-
ও মা! একি!
সবকিছুই লাগতেছে হেব্বি নাইছ!
জিগাইলি, লাগবো নাকি আর একটু রাইছ?
বাট আমিতো রাইছ চিনিনা,
চালের বদলে অন্ন কিনিনা-
তুই, দুই দিনের বৈরাগী
ভাতেরে কইস রাইছ।।
ও আমার সখী,
একটু দাড়া দ্যেখি-
চল তোর সাথে প্রেম করি;
আকাশ মেঘলা,
বাতাস রঙীলা,
পরিবেশটাও বেশ খোলামেলা।
উহহ্! মনে বড় জ্বালা-
ও প্রাণের সখী,
করিসনা অবহেলা।
♦♣♦