***
নিকষ কালো আঁধারের বুক চিরে
আসা সময়ের প্রতিধ্বনিগুলো-
আমাকে ছুঁয়ে দিয়ে যায়।
আমি তখন আমার চেতনার আড়ালে
লুকিয়ে রয়েছি; বিন্দু বিসর্গতা
খেলা করে আমার অস্তিত্বের শরীরে।
বর্ণালির রঙগুলো আলোতে হারানোর
কথা ছিলো- সীমাহীন নৈঃশব্দে
আমি তখন ডুবে রয়েছি।
আমার অন্তর্হিত স্নায়ু রন্ধ্রে রন্ধ্রে -
তৃতীয় চক্ষু জাগরনের অপেক্ষায়!
ইন্দ্রিয় সমূহ ক্ষয় করে চলেছি ক্রমাগত।
ফাঁকা রাজপথে গড়িয়ে পড়া
এক টুকরো রোদ্দুর,
বাতাসে ভেসে এসে- আমাকে শিহরিত করে।
বিস্তৃত গাঢ় অন্ধকারের বুকে পাল তুলে
একটা কাগজের নৌকা ভেসে আসে;
আমি সমস্ত রোদ নৌকাতে পার করি;
নিবিড়তা কাম্য হয়-
অলৌকিক পোষাক খুলে ফেলে
বেরিয়ে পড়ি আমি অনিশ্চিত গন্ত্যব্যে,
চেতনার গহ্বরে সামান্য দিব্যতা ঝরে পড়ে;
ইন্দ্রিয় সমূহ পুনর্জীবন পায়,-
ষষ্ঠতার মাত্রা ছেড়ে নাগালে আসে সপ্তম সুর;
সুদূরে ভাসমান আলোক কণায়
সময়ের প্রতিধ্বনি খেলা করে,-
আমি তখন আমার ভুবনে সম্মোহিত;
বিন্দু বিসর্গতা শূণ্যতার অভ্যন্তরে মেশে।
***