***
আকাশের দিকে চেয়ে রাতজাগা পাখি
ঘুমের পরশে দোলে স্বপ্নের ডাঁটে-
তারাগুলো কতকাল সন্ধি করে রবে,
এবার বেসাতি মেলে নাগরিক হাটে।
আলোনেভা, আলোজ্বলা- স্তব্ধ সময়ে
কবেকার কথামালা বুনেছি অবকাশে,
সে সব মাথায় ধরি নিদারুণ চোখে-
নিজের সংজ্ঞা শুধু খুঁজে ফিরি শেষে।
কথা কও, কথা কও, ও ভালো তারা!
নিশুতি পোহাতে আর বেশি নাই বাকি;
কি আমার নামধাম, কি কারনে আসা,
এসব না জেনে ক্যামনে প্রান রাখি?
তন্ত্র-মন্ত্র পাঠ শেষে অজাচারী দেহ
ঘুরিয়ে প্রকাশ করি আত্মঘেষা গুণ,
ক্যামনে গঠিত হলো এ দেহ আমার?
ক্যামনে সৃষ্টি হলো শরীরের খুন?
আমিই আমারে করি আত্মনিবেদন
জীব-জড়ের মাঝে সংযোগের আশে;
কাহার বা প্রান হলো বিচূর্ণ আমাতে
ভুলে থাকে- জেগে ওঠে নতুন উচ্ছ্বাসে।
কতকাল রবো আর নিশি পানে চেয়ে?
তারায় তারায় যতো কথা আছে জমা,
সেসব জানতে চেয়ে পূণ্য ভুলে থাকি
সাবধানে গুজে রাখি নিজের গরিমা।
সত্যকি প্রকাশ হবে কোনদিন- নাকি
অনন্ত আঁধারে শুধু ঘুরপাক খাবো!
ইষ্টচিন্তা, সুষ্ঠুচিন্তা সবই বাদ যাবে-
রিপুর গেরোতে পড়ে নিজেরে হারাবো।
যে বাঁধনে রেখেছে বেধে পৃথিবী আমায়
সে বাধঁন কাটতে করি সময় ক্ষেপন,
পথের উর্দ্ধে সব ছলনা আর ফাঁকি;
নিজেরে জানতে শুধু শক্তি প্রয়োজন।
***