একটা দীঘি ছিল,
স্বচ্ছতা মাপবার চাবিকাঠি।
সেখানে তুমি অবগাহন করলে-
শীতার্ত শরীরে, উদ্ধত নগ্নতায়;
তোমার স্বচ্ছতায় জলের রঙ
-রূপালি হলো।
গাছেরা তোমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে-
একরাশ ফুল ঝরালো;-
আকাশ থেকে খসে পড়লো
একটা ধুমকেতু।
তুমি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে-
তোমার পরিশুদ্ধ অন্তরাত্মাকে
প্রকাশ করলে।
সমস্ত দীঘির জল-
অনন্য মাধুর্যতায় হেসে উঠলো।
এরপর আমার পালা,
যদিও মনকে প্রকাশ করতে-
আমার কিঞ্চিত শঙ্কা লাগে;
তবুও তোমার অনুরোধের পথে-
আমাকে এগিয়ে যেতে হলো।
একটা পায়ের আঙ্গুল ছোঁয়ালাম,
কি অলৌকিক শিহরন-
খেলে গেলো আমার শরীরে!
সাথে সাথে দীঘির জলও
কিছুটা আঁচ পেয়েছিল-
আমি নামতে চাইছিলাম না,
তারপরও তুমি ঠেলে দিলে আমাকে
-দীঘির শীতল জলে।
কী তুমুল বাতাসের তান্ডব,
রীতিমতো ঝড় শুরু হলো;
দীঘি ও আমি-
আমাদের মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
তুমি পাড় থেকে দাড়িয়ে,
অবাক চোখে সব দেখছিলে-
তারপর বাতাসের বেগ থামলো;
ঘূর্ণিবাতের সময় ফুরালো,
আমাকে তুমি টেনে তুললে-
দীঘির অগভীর জল থেকে ডাঙায়।
কী আশ্চর্য!
আমি হয়তো বেঁচে থাকলাম,
কিন্তু আমার শরীরের কৃষ্ণতা
সব দীঘি শুষে নিলো;
স্বচ্ছ দীঘি এখন কালচে-
কর্দম ছড়ানো কলুষিত শরীর।
***