♠♥♠
একলা দাড়িয়ে ছিলাম
নিষ্প্রাণ নিবীড় মোহনায়,
হঠাৎ অবাক চোখে
চোখ মেলে কোথায় হারালাম?
জানিনা নিশ্চিত আমি-
কোথায় এসেছি
আর কেনই বা এলাম;
ধূসর সময়গুলো
বারে বারে থমকে দাড়ায়।
যতটা সাধ্য ছিল
সীমারেখা ধরে এগিয়েছি,
মায়াহীন হৃদয়ের প্রান্তে এসে
করেছি তোলপাড়;
অানাড়ী আত্মাগুলো
তবুও নেশার ঘোরে বুদ-
ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন
আমার চোখে দারুন হাহাকার।
কে, কারে, দেখাবে দিক?
যে যার নিজেরে করে খুশি!
আয়নাতে বন্দী করে
অবরুদ্ধ মনের কপাট;
সহসা সহজ স্রোতে
যে ছেড়েছে শারীরিক বাঁধ,-
উজানের ক্ষেত্রে তারে
পেয়ে বসে নিঠুর বেহুশি।
স্রোতের তেজ কত ভারী হয়-
ভিড় ঠেলে,
গোচর হয়েছে তারি রেশ;
মোহনায় স্তব্ধ না হলে-
কে জানিত হায়!
কেমনে আড়াল হয়ে রয়েছে
আলোর প্রদেশ।
মিথ্যার প্রহলে কেবা
সত্যকে গোপন করেছে,
কেবা দিছে মুমূর্ষুরে
একমুঠো স্নেহের পরশ;
যন্ত্রধ্বনি শুনে যারা
মিশে গেছে নির্বাক কাতারে-
তাদের বিবেক আর
কতখানি রয়েছে সরস।
মুগ্ধ আমি, মুগ্ধ-
শুধু মিথ্যাকে সঠিক চিনেছি!
না হয় বাকিরা সব
রিপুর বেড়াজালে থাক,
অসীম আঁধারে যদি
কেড়ে নেয় সব খোলা পথ;
নিজেরে জ্বলিত করে
ঝরাবো আলোর প্রপাত।
শুস্ক হৃদয়ে যদি-
মন্ত্রজপে আগুন না জ্বলে!
কেন মিছামিছি তবে
বয়ে চলা সময়ের ভার?
অন্ধকার থেকে আসে আলো;
আর আলো থেকে আসে অন্ধকার।
♠♥♠