স্রোতস্বিনী, শুনতে কি পাওনা গর্জিত মম কন্ঠ?
আবেশে তব কলতান ধ্বনির মেলে না তো অন্ত।

তরঙ্গিণী, তব রূপে মোহিত মম আঁখি কমল।
পবনে দিয়েছো সুমিষ্ট সুবাস, তব রূপ নয়তো কোমল।

প্রবাহিনী, তব প্রেম তরঙ্গের ছন্দে মিলে উদ্দম প্রতিমা।
নৃত্যে নৃত্যে বয়ে বেড়াও যবে, করি তব বন্দনা।

জলপ্রবাহে বারিধারায়  সিক্ত প্রেম প্রকাশ।
পুঞ্জি পুঞ্জি সলিল কণা তার নেই তো অব-কাশ।

তট তীরে মৃত্তি দলে খেলে হেলে-দুলে।
শ্যাম বালিকা বদনে মেখে, হস্তে নিলো তুলে।

তলদেশে মেলে ধরেছে অমূল্য ভান্ডার।
সিক্তধারার স্পর্শে তনুর শীতল সঞ্চার।

নদীর পরিখায় সাঁতরে বেড়ায় মৎস্য কুলরানী।
অমৃতধারা তৃষ্ণা মেটায়, তোমায় তো মহৎ মানী।

নদী মোহনায় জেলে মাঝির সুখের গানগুলি ,
গেয়ে চলে বৈঠার চাপে জল তরঙ্গ খেলি।

মাতৃকার বেশে তুমি এলে সুন্দর সুন্দরে।
কলেবরে মিশে গেছো সিক্ততা অন্দরে।

গর্ভে মতি অতি প্রীতি তোমাতে তোমাতে।
রিক্ত হস্ত পূর্ণ করো সুপ্ত মায়াতে।

লহরি এসে উছলে পড়ে চিকিমিকি বালির বুকে।
ঝুঁকে ঝুঁকে মন দোলাও প্রণয়ের রূপ এঁকে।

অবগাহনের অদৃশ্য মায়া ডেকে বলে আমায়।
তটিনী, তব সান্নিধ্যে কাটিয়ে যবে বাড়ি চলি বেলায়।









রচনাকালঃ ১৮/০৮/২৪ইং