অতীত পানে তাকিয়ে দেখি স্মৃতি আর স্মৃতি।
জীবনের যত মধুর প্রীতি মনে জাগে গীতি।
অভি-সারে ছিলে মম প্রণয় বন্দিনী।
গুপ্ত আশা নিত্য নয়নে কুঞ্জ মালিনী।
বারংবার যেন ছুটে এসেছি প্রণয় রজ্জুর টানে,
হৃদ তটিনীর উত্তাল ঢেউয়ে হারিয়েছি মন তানে।
অতীত পানে তাকিয়ে দেখি স্মৃতি আর স্মৃতি।
জীবনের কত বিপত্তি লয়ে ভেঙ্গেছি শত রীতি?
মত্ত হয়ে থেকেছি আশে শত গঞ্জনা সহে!
উদভট পাগলামির কুঞ্চিত বেড়াজালে ছন্নছাড়া মোহে।
হে আগন্ত্তক কেন এসেছিলে মম শরণে?
ভ্রমিত করেছো চিত্ত মম প্রেমানু বাক্যের কারণে।
অতীত পানে তাকিয়ে দেখি স্মৃতি আর স্মৃতি।
জীবনের শত সঞ্চিত বেদনা টানেনি যেন ইতি!
শোন হে নিয়তি, প্রীতিময় কত রোদেলা স্মৃতি,
কেন বুঝলেনা মিনতি, ক্রন্দনে আঁখি অতি!
দুর্মর সময় পেড়িয়ে আজ শূণ্য হস্তে রই।
ফিরিয়ে দাও মম সোনালী সকাল, কেন শত যন্ত্রণা সই!
অতীত পানে তাকিয়ে দেখি স্মৃতি আর স্মৃতি।
জীবন হলো দূর্বিসহ ঘূর্ণিপাকে করলো ক্ষতি!
হাঁফসে মরি বুক ধড়ফড় প্রাণ বুঝি যায় চলে!
দীর্ঘশ্বাসে গেলো কতটা বৎসর, কালের অতলে?
হর্ষ যেন মায়ার আবেশ, জীবন দেখালো কত যে স্বপ্ন রঙ্গিলা?
গহিন পরানে অব্যক্ত কথা, সমীরণে খুলে যায় স্মৃতির জানালা!
রচনাকালঃ ০৬/০৭/২৪ইং