কাল রাত্রিতে তন্দ্রা জড়ালো মম আঁখির নীড়ে।
হারিয়ে গিয়েছিলাম গহীন স্বপনে স্বপ্নলোকের ভিড়ে।
দেখলাম তোমায়, মম বাহুডোরের বলয়ে।
তুমি এসেছিলে আপনও দ্বারে প্রেমোপদ্ম লয়ে।
প্রগাঢ় প্রনিধি তার অন্তরে নির্মল শূন্য হাসি।
প্রেমের ঢংগে চলন গড়ন যায় যে ভালোবাসি।
আহা রে সেই কৃষ্ণকলি শিমুল তলে বসে !
গাঁথে মনে শৃঙ্গার মালা ব্যাকুল প্রেম পিয়াসে।
পদ্ম পুষ্প দেহ বর্ণ আকাশ নীলিমা আবরণ।
অবলোকন করি গহীন দৃষ্টিতে, চোখে প্রণয়ের ক্রন্দন।
হে সজনী অহমিকা করোনা অন্য দ্বারে ঘৃণা।
চরণে লয়ে চঞ্চল নূপুর বাজে সে আনমনা।
ভিতরে তার অনাদেয়ো ব্যথা, কেঁদে ফুঁপিয়ে মরে।
ধরতে গেলে লুকিয়ে পরে শৃঙ্গীর সরোবরে।
প্রণয়ের জ্বালা অগ্নিতে সিক্ত, ডেকে নিলে আঁধারে ।
এসো নাগো প্রিয়া একলা নিবৃতে, নিকুঞ্জ বনের অন্দরে ।
প্রভাতের প্রথম প্রভায়, হেরি তব পূর্ণ রূপের বেশ।
এই ছিল মোর স্বপ্নাবেশ, ঘুমন্ত আঁখির আবেশ।
রচনাকালঃ ০৫/০৩/০৯ইং