শ্যামাঙ্গ বালিকার সনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ।
দুটি মনের প্রেম আলিঙ্গন অশ্রু বিসর্জন।

কন্ঠ কাঁপা অব্যক্ত কথা কইগো সুজন।
প্রেম রথি দুহে মিশি অমৃত ব্যঞ্জন।

দুটি হৃদয়ের কথার কলি শেষ হবার নয়।
কন্ঠে শুনেছি গানের কথা, গাইলে নির্ভয়।

চপলবালা কেমনে ছিলা মম বিরহ সহে?
ঊর্ধ্ব শির কখনো হেরিনি গুপ্ত প্রণয় দহে।

পূজার অর্ঘ্য লয়ে সম্মুখে এলে উজ্জ্বল হাসিতে।
ললাটে মম ছোঁয়ে দিলে ভবানীর আশিস নিমিত্তে।

দৃষ্টির মিলন দুহের আঁখিতে, উষ্ণ পরশের বাসনা।
দুষ্টুমতি স্বজনেরা চারিধার করছে আনাগোনা।

প্রিয় সাথী, তব প্রেম ছিলো পবিত্রতায় ঘেরা অনুভবে মিশি।
এত কেন পাগল ছিলে, তব বিষন্ন বদন দেখেছে আরশি?

অষ্টাদশী রমনী তুমি, দীর্ঘ অপেক্ষায় যবে,
নরম ওষ্ঠ করেছি পান প্রেমো অঙ্গে ডুবে।

মম নির্লিপ্ততা তব তরে কেমনে করলেম প্রিয়?
ক্ষণবেলা চেয়েছো বটে, দেইনি, অন্তঃজ্বালা স্বীয়।

তোমাকে রাখেনি আমার করে, বিধি দেয়নি তো সাড়া।
সরলপথ দুদিকে বয়ে গেলো, অন্তিমে দুজনেই সাথীহারা।










রচনাকালঃ ০৯/১১/২৪ইং