গ্রীষ্মকালে সূর্যের দাপটে অস্থির প্রকৃতি।
আগুনের ফুলকি ঝরে পড়ে যেন নিষ্ঠুর নীতি।

মাঠ শুকিয়ে চৌচির যেন, বৃষ্টির নেই আভাস।
প্রাণিকুল যেন ধুঁকে মরে একি সর্বনাশ।

রাস্তাঘাটের মানুষগুলো ঊষ্ণ তাপে দহে,
শরীর বেয়ে ঝরে পড়ে ঘাম কষ্ট লয়ে বহে।

নগ্ন চরণে পথ চলা ভার, মৃত্তি আগুনে পুড়ে।
অঙ্গার হলো বৃক্ষরাজি, জীবন বুঝি গেলো উড়ে।

অসহিষ্ণু তাপদাহে অতীষ্ট জন-সমাজ,
ঘরে শীতল বাতাস বয়ে না, গরম সই আজ।

ফ্যানের বাতাসে তাপ ঝরে, বিদুৎ বিভ্রাটে মরণ।
তৃষিত হয়ে ধরিত্রী কয় বিরক্তি করেছি বরণ।

চাতকের ন্যায় প্রকৃতি খুঁজে বৃষ্টি ভেজা প্লাবন,
ভিজে গিয়ে প্রাণ ফিরবে, শীতলকে করবে আপন।

হে গ্রীষ্ম মহারাজ,
তব তরে প্রণতি মম আর দিয়োনা জ্বালা।
প্রাণ বুঝি হায় যায় যায়, লওনা কন্ঠে শীতলও মালা।





রচনাকালঃ ২৩/০৫/২৪ইং