আলতা রাঙ্গা চরণ তোমার মৃত্তি ধূলি গায়।
মেঠো পথের বাঁকে হেরি মন ভয় পায়।
পবন খেলে কেশগুচ্ছে আঁখি টলমল।
উন্মনে সরণির তলে চাঁদমুখ কোমল।
উদাস মনে কার নিমিত্তে একলা চলে যাও।
নিভৃতে কালের সনে অবলা তুমি রও।
অলক খুলে শ্রাবণ মেখে আপন বাড়ি যাও।
সলিল কণার আলতু স্পর্শ মুখচন্দ্রে লও।
কাঁখে কলসি হাতে বালতি সম্মুখে চলন।
আপন ভুবনের ক্ষণবাঞ্ছা করো পূরণ।
পদ্মার তটে উপবেশনে করো কার স্মরণ?
অন্তঃ জ্বালায় অঙ্গা ডোবাও শীতল হবে বদন।
সোপানখানা তোমার কি না, কেমন করে কও?
চরণ ভিজিয়ে সলিল তলে দাঁড়িয়ে যেন রও।
সিক্ত অঙ্গে বসন হেরি উষ্ণ পরানে ঢেউ।
হেরি ফিরি অগোচরে দেখেনা আর কেউ।
প্লাবণ জলে চরণ ছেড়ে সাঁতার কাটছো সই।
অথৈ জলে কূল হারাবে মনে শঙ্কা লই।
হে প্রতিমা কূল দেখিনা মনে লাগে ভয়!
সেথায় একলা যেও নাগো যদি কিছু হয়।
সোনার বরণ রাঙ্গা চরণ কবে দিবে দর্শন?
ঘাটে তোমায় কেন দেখিনা, তব কি হইলো বিস্মরণ!
রূপমালিকা তুমি হইয়োনা ভিন্ন জনে মতি।
নিঃশব্দে, তব পশ্চাদে এসে খুশী হে পদ্মাবতী।
রচনাকালঃ ২৮/১০/২৪ইং