সঙ্গ বিবর্জিত অপ্রিয় ক্ষণে অস্পষ্ট স্বপনের দর্শন।
শান্তনার স্বরে এগিয়ে এলো নিঃসঙ্গতার ভুবন।
দুঃখের পরান হয়না ক্ষান্ত প্রবৃত্তিই শমন।
অশান্ত মনে বেদনার ঝড় দুর্বার শ্রাবণ।
ক্লান্ত চোখে তাঁকিয়ে তোমায় হেরেছি স্বজন।
বন্ধন কেন এমন হলো বলোনা প্রিয়মন?
তন্দ্রার ঘুরে অস্পষ্ট বুলি আঁখি ভরা জল।
দিবা-নিশি কাটে মম বিরহিত অনল।
বিদঘুটে তমসার বেশে কালের আসন।
অতিষ্ঠ প্রাণে অস্থি নড়বড়ে ছিন্ন-ভিন্ন অঞ্জন।
গর্হিত বাক্যে মম সম্মুখে তব নয়নের তর্জন।
ভিন্নমতি তাই বলে কি মোরে ভুলবে স্বজন?
অতন্দ্রিত রজনী কাটে বিমূর্ত কায়ার ছায়ায়।
প্রাণপতি যবে মিশি স্মৃতিতে ঘেরা তোমায় !
আঁখিপ্রাতে এটাই যাচে মম পশ্চাদ পানে লুকায় ।
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে পাশে জড়াবে তব বুকের খাঁচায়।
রচনাকালঃ ২৯/১২/২৪ইং