মম নিধি তুমি যদি গোপনে আসো পরানে,
ছিন্ন মনে ঘুরে বেড়াতাম তব স্মরণে।

অভিন্ন দুহে প্রেম যমুনে, ভাসি প্রণয় বন্ধুর সনে।
পন্থধারে ঘাসের পরশে, তব সবুরে কাল গুনে।

ঝিনুকের অন্তরে  মুক্তদানা যেরূপ বিরাজ করে।
মম হৃদে প্রিয়ার আবাস সেথায় নিত্য আনন্দ ঝরে।

চরণ তার নিক্কণ ধ্বনিতে সারা পাড়া খেলে,
মাতলো যে আজ সোনার কন্যা বৈকালে পাখা মেলে।

নোলক পড়ে মম বধূয়া চাঁদের হাসি হাসে।
সরল বালা মুখ লুকিয়ে আড়াল ঘরে মিশে।

অলক সরিয়ে ললাট ভরে চন্দন ফোঁটা নিলে।
হস্তকমলে মৃদু পরশে ছন্দ হৃদয়ে দিলে।

কবরীভূষণে অলংকৃত হয়ে সুষমামন্ডিত কায়া,
অভিমুখে দাঁড়িয়ে লাজে নত শিরের ছায়া।

অলীক মোহে বশীভূত আঁখি মুগ্ধতা সরেনা!
যতই হেরি মন মানেনা, বাড়ে প্রকান্ড বাসনা।

রসিকতায় মজে দেখেছি তব তনুর শ্রী রূপ।
চুপ কেন গো মুচকি হাসো বসে নিশ্চুপ?

নথের আলোয় চোখের তারায়, অবজ্ঞায় কুঞ্চিত বরণ।
অতিক্রান্ত করলে মম সম্মুখপান, তব বিনে হবে বুঝি মরণ!

বদন ভরা আবেগ জড়ানো শরমে দন্তে কাটে অধর।
মৌন ভাঙ্গেনি দাঁড়ানো চৌকাঠে, সেথাই মম নজর।

দীঘল আঁখির শরম সে কি পূর্ণ বিভবে মুড়া?
নিথর মায়ায় স্তব্ধচিত্ত, শূন্যতায় প্রণয় নাড়লো কড়া।

তব আশে বসে আছি, কবে যে দেবে বিধি?
তন্দ্রায় আঁকি তব ছবি, যবে এসেছিলে নিধি।








রচনাকালঃ ০২/০৯/২৪ইং